বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। তাঁর মুক্তির দাবিতে গণআন্দোলন ও গণমিছিল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামতে হবে। তাহলেই কেবল দেশনেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব হবে। রাজনৈতিক মামলাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলে জনগণই বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বের করে আনবে এবং সরকারকে মসনদ থেকে টেনে নামাবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল্লাহ-আল নোমান বলেন, সরকারে পতনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সরকারের পতন ছাড়া বেগম জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। বেগম জিয়ার মামলা রাজনীতিকভাবে হয়েছে। তাই আমরা মনে করি রাজনীতিগতভাবেই এই মামলার সমাধান সরকারকে করতে হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে তিনি কোর্টে উপস্থিত হতে পারছেন না। অথচ তাঁর কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে খুব উদ্বিগ্ন, তাঁকে অবিলম্বে বিশেষায়িত হাস্পাতালে চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি নেতা বলেন, আগামী ডিসেম্বরে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের ভাষ্য মতে, তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মনে করি, সরকার জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তাই বর্তমান সরকারের অধীনে আরও কোনও নির্বাচন হতে পারে না। এককভাবে ছোট করে মন্ত্রিসভা করা অযোক্তিক, তা আমরা গ্রহণ করবো না। এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে কারারুদ্ধ রেখেছেন। যে মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে সেই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত। অথচ ২০১৪-১৫ সালের মামলায় তাঁকে জড়িত করে তার কারাজীবন দীর্ঘায়িত করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নাই, সে দেশে আইনের শাসন থাকে না, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না। তাই বলছি, আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। কারণ তাঁর কারাবন্দিত্বের সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক, তাই রাজনৈতিকভাবেই মাঠে থেকে তাঁকে আমাদের মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, কারাগারে অন্যায়ভাবে আদালত স্থাপনের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাঁকে হাজির করা হয়েছে। তিনি বলেছেন ‘আমি অসুস্থ। আপনারা যতো পারেন শাস্তি দিতে পারেন। আমি আর আদালতে আসবো না। তাই আজকে সবচেয়ে প্রয়োজন দেশের গণতন্ত্র কায়েমের মধ্য দিয়ে ঐক্যের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা। দেশবাসীর সামনে এর কোনও বিকল্প নেই।’ পেশাাজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকল পেশাজীবীদের বলবো দু-একদিনের মধ্যে বেগম জিয়াকে যদি মুক্তি না দেয়া হয় এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে রাজপথে গণমিছিল নিয়ে নামতে হবে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর মুক্তির জন্য যদি গণমিছিল করা হয় লাখো কোটি মানুষ রাস্তায় এসে এই সরকারকে তছনছ করে দেবে এবং তখন বেগম জিয়ার মুক্তিও হবে।
এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির গণবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাক্ষ সেলিম ভূইয়া, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।