পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদায় ১৪৩৯। স্বাগতম ১৪৪০ হিজরি। ১ মুহাররমের মধ্যদিয়ে হিজরি সাল ১৪৪০ এর সূচনা হলো আজ। ইসলামী পঞ্জিকা হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররম। ইসলামে এ দিনটি মুসলিম স¤প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হিজরি সালের সাথে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। মুসলমানদের পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.), রোজা, হজ, ঈদ, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজসহ ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান হিজরি সনের উপর নির্ভরশীল। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে ও তার পূর্বে রোমান, পারসিয়ান ও অন্যান্য জাতির মধ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা প্রচলিত ছিল। আরবদের মধ্যে কোনো নির্ধারিত বর্ষ গণনা পদ্ধতি ছিল না। বিভিন্ন ঘটনার ওপর নির্ভর করে তারিখ গণনা করা হতো। খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.) এর শাসনামলে ১৬ হিজরি সালে প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু মুসা আশআরীর (রা.) পক্ষ থেকে হিজরি সাল গণনার গুরুত্বের চিঠি পেয়ে হযরত উমর ফারুক (রা.)-এ বিষয়ে পরামর্শ সভার আহবান করেন। পরামর্শ সভায় হজরত উসমান (রা.), হজরত আলী (রা.)সহ বিশিষ্ট সাহাবিগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে ওই সভায় হযরত ওমর (রা.) সিদ্ধান্ত নেন ইসলামি হিজরি সাল প্রবর্তনের।
সভায় হযরত ওমর (রা.) দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যকে হজরত উসমান (রা.) ও হজরত আলী (রা.) এক বাক্যে সহমত পোষণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে খলিফা হযরত উমর ফারুক (রা.) হিজরতের বছর থেকেই ইসলামি দিনপঞ্জী গণনা অর্থাৎ হিজরি সাল গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মোদ্দা কথা, আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলেই হিজরি সনের গণনা সূচনা হয়। হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মুহাররম। মুহাররম একটি তাৎপর্যমন্ডিত ও বরকতময় মাস। মুসলিম ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। এ মাসটিকে ‘শাহরুল্লাহ’ তথা আল্লাহর মাস বলা হয়। এ মাসে ১০ তারিখে রয়েছে ফজিলতপূর্ণ ‘আশুরা’।
এছাড়াও বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দিনে ঘটেছে। ভবিষ্যতেও এই দিনে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। মুহাররমের ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নফল রোজা। ‘রামজানের পরে সবচেয়ে বেশি ফযিলতের রোজা হলো আল্লাহর মাস মুহাররমের ১০ তারিখ আশুরার রোজা। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমার বিশ্বাস যে, আশুরার রোজার বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা বিগত এক বছরের গোনাহ মাফ করে দিবেন’। বিশ্ব মুসলিমের উচিৎ হিজরি সাল অনুকরণ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।