বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের কথাই সত্যি হলো। রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাউনিতে লাগানো বৈদ্যুতিক পাখাগুলো (ফ্যান) খুলে নেওয়া হলো। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ট্রেনযোগে উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই ওই ফ্যানগুলো খুলে নেওয়া হয়। আর দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানার শহর নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি যাত্রীদের জন্য নয়, মন্ত্রীকে দেখাতেই প্লাটফর্মে যাত্রী ছাউনিতে বৈদ্যুতিক পাখাগুলো (ফ্যান) লাগানো হয়েছিল ?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর ওবায়দুল কাদের কয়েকজন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে সফরে আসেন। মূলত আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তাদের ওই সাংগঠনিক ট্রেনযাত্রা। এ ট্রেন যাত্রার উদ্দেশ্য স্টেশনে স্টেশনে পথসভা করে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা ও সরকারের জনমত যাচাই। ওই দিন মন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্ত:নগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রীর ট্রেনযোগে আগমন উপলক্ষে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য রেলওয়ে স্টেশনের মতো নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনটিও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। আর রেলওয়ে স্টেশনের প্লার্টফর্মের যাত্রী ছাউনিতে লাগানো হয় বিআরপি কম্পানির ১০টি নতুন সিলিং ফ্যান (পাখা)। একজন মন্ত্রীর আগমনে রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী ছাউনিতে ফ্যান লাগানোর ফলে যাত্রীদের কষ্ট লাঘব হয়েছিল। এতে করে সৈয়দপুর স্টেশনে আসা সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা ফেলেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু সে সময় আবার অনেক যাত্রীই আবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রীর যাত্রা শেষে হয়তো ফ্যানগুলো খুলে নেওয়া হবে না তো ? আর সত্যিও হলো তাই। মন্ত্রী সফর শেষে ঢাকা পৌঁছাতে না পৌঁছাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী ছাউনির সিলিং ফ্যানগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হলো। গত সোমবার রাতে সৈয়দপুর স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনির সিলিং ফ্যানগুলো আর নেই। এ নিয়ে কথা হলে স্টেশনে অবস্থানরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেন যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, যাত্রীদের কষ্ট লাঘবে নয়, ফ্যানগুলো লাগনো হয়েছিল মন্ত্রীকে দেখাতে, খুশী করতে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মের যাত্রী ছাউনি থেকে লাগানো ১০টি সিলিং ফ্যান খুলে নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র স্টেশন মাস্টার মো. শওকত আলী। তিনি বলেন, রেলওয়ে বিদ্যূৎ বিভাগের কাছে থেকে আমি ফ্যানগুলো কাগজে কলমে বুঝে নেই। অথচ পরবর্তীতে আমাকে না জানিয়ে সে সব আবার খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।