রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শান্তির প্রতীক কবুতর। অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করেন, আবার কেউ বাণিজ্যিকভাবেও। তেমনি কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রামের রামপদ অধিকারীর ছেলে মিলন অধিকারী বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করছে। আর এতে ভাগ্যের চাকা ঘুরছে স্থানীয় অনেক বেকার যুবকের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিলনের খামারে প্রায় ৫০টিরও বেশি বড় বড় খাঁচায় পালন করা হচ্ছে বিদেশি ৩০ জাতের কবুতর। যার প্রতি জোড়া কবুতরের দাম দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খামার মালিক মিলন জানান, ছোট বেলা থেকে তার শখ কবুতর পালন করা। ছোট বেলা থেকে সে উন্নত জাতের কবুতর ক্রয় করে বাড়িতে পালন করতেন। এরপর এক বন্ধুর পরামর্শে ২০১১ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন শুরু করেন। খামারের কবুতর সম্পর্কে জানতে চাইলে মিলন বলেন, বর্তমানে তার খামারে প্রায় দুইশ জোড়া কবুতর রয়েছে। যার মূল্য কয়েক লাখ টাকা। বিদেশি জাতের প্রতিটি কবুতর প্রতিমাসে বাচ্চা দেয়। বর্তমানে তার খামারে লক্ষা, গিরিবাজ, লোটন, সিরাজী, ময়ূরী, মুক্কি, কালশিরা, বিউটি ডোমার, নান, জিলানী, কালদম, শোয়া, চন্দন, কিংস্টার, মহিশুড়, কালপুড়া, রামপুরি ইত্যাদি জাতের কবুতর রয়েছে। বিক্রি করার কলাকৌশল সম্পর্কে তিনি জানান, তার খামারটি অনেক পুরোনো, এ কারণে পরিচিতিটা অনেক বেশি। এছাড়াও তিনি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কবুতরের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দেন। আর এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা তার সাথে যোগাযোগ করে কবুতর ক্রয় করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. মনোজিত কুমার মন্ডল জানান, অল্প পুঁজি ও স্বল্প জায়গা নিয়ে কবুতর পালন করা যায়। কবুতর পালন এখন লাভজনক হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ছয়শ বাণিজ্যিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবক বাড়িতে কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।