পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে ৩০ অক্টোবরের পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। অথচ এখনো নির্বাচনকালীন ‘সরকার পদ্ধতি’ বিরোধের সুরাহা হয়নি। নির্বাচনকালীন সরকার সমঝোতার মাধ্যমে হবে নাকি সংঘাত অনিবার্য সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ‘জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ে’ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ইস্যুতে বিরোধী শিবিরে জোট গঠনের অগ্রগতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে নানা মত-পথের রাজনৈতিক দল এক সারিতে আসার সিদ্ধান্ত কার্যত নিয়েই ফেলেছে। ‘বৃহৎ ঐক্য জোট’ ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। কিছু দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আবার কিছু দাবিতে রাজপথে ’৯০-এর মতো যুগপথ কর্মসুচি পালন করা হবে বলে জানা গেছে। রুপরেখা দেয়া হবে সেই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের তিন জোটের রুপরেখার আদলেই। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সব্রত চৌধুরী বলেছেন, জোট কার্যত হয়েই গেছে। কিভাবে জোট ফাংশন করবে সবকিছুই ঠিকঠাক। এখন ঘোষণা সময়ের ব্যাপার মাত্র। নাগকির ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যের ব্যাপারে আমি এখন আর কোনো বাঁধা দেখি না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানববন্ধনে বলেন, দানব সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি ‘নো খালেদা জিয়া নো ইলেকশন’ ইংগিত দেন।
বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যে’ কাজ করবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহৎ স্বার্থে সব দলকে ‘কিছু ছাড়’ দেয়ার আবহান জানিয়েছেন। জোট গঠনের ‘পথের কাঁটা’ জামায়াত নিয়ে গণফোরাম ও বিএনপির মধ্যে যে সংকট ছিল সেটাও কার্যত কেটে গেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতারা বৈঠক করে বৃহৎ ঐক্যের ব্যাপারে ‘একমত’ হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেন আহুত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ থেকে কিছু কর্মকৌশল ঘোষণা করা হবে। সুশাসনের দিক-নির্দেশনা তুলে ধরা হবে। অতপর কিছু কমন গ্রাউন্ডে বিএনপি, গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ে ঐক্যজোটের ঘোষণা দেয়া হবে। জামায়াতকে জোটেভুক্ত না রাখার বিষয়টির সুরাহা হবে রাজপথে ’৯০ আদলে যুগপথ কর্মসূচির মাধ্যমে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্য বিরোধীরা বিএনপি-যুক্তফ্রন্টে যেন ঐক্য না হয়, ঐক্য প্রক্রিয়া যাতে না এগোয় তার জন্যই নানা ধরনের কথা বলছেন। যুক্তফ্রন্ট কতদিন রাষ্ট্র শাসনের সময় চায় তা তো অনেক পরের ব্যাপার। এখনো পর্যন্ত সরকারবিরোধী একটা ফ্রন্ট তৈরি হচ্ছে। বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট বা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক যে শর্তগুলো আছে তা নিয়ে ফাইনাল আলোচনা শেষ পর্যায়ে। আর যাদের বিরুদ্ধে বিরোধী জোট হচ্ছে তারাও তো শক্তিশালী, ফেলনা নয়। শাসন-প্রশাসনের ব্যাপারটা আরও পরে আসবে।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা সংলাপ না করে নির্বাচনকালীণ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া মাঠের বিরোধী দলগুলোকে আরো কাছাকাছি আসতে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান শেলি বলেন, রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান পারস্পরিক সমঝোতা। ক্ষমতাসীনরা ধরেই নিয়েছে প্রতিদ্ব›িদ্ব দলগুলোর তাদের (আওয়ামী লীগ) ঠেকানোর সক্ষমতা নেই। তবে বিরোধিরা বড় করে প্রতিবাদ করতে পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। পরিস্থিতি সংঘাতের পথেও যেতে পারে।
২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে সফল করতে প্রতিদিন ঘরোয়া বৈঠক চলছে। জাতীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে মিলিত হচ্ছেন ড. কামাল হোসেনের প্রতিনিধিরা। গতকালও ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্যসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বাসদের খালেকুজ্জামান ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশরেফা মিশুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগের দিন জোনায়েদ সাকিসহ বাম দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে বৈঠক করেন। বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শক্তি আর ভোটের নামে রঙ্গ করে সরকার গঠন করতে পারবে না। তাই সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে ঐকবদ্ধ হতে হবে। তিনি এব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, যে ছয় দফা এগার দফা নিয়ে গণ জাগরণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে; মানুষের মধ্যে সে ধরণের একটি গণজাগরণ গড়ে তোলার হাই টাইম চলে এসেছে। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে আসা কঠিন না। সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে স্বৈরাচার জনদাবি মানতে বাধ্য হবে। আমরা সেটাই করছি।
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন চলছে যেন জোট, ফ্রন্ট আর কোয়ালিশনের যুগ। বিশ্বের বিভিন্ন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ঐক্যজোট গঠিত হয়ে থাকে। দেখা যায় সময়ের প্রয়োজনে বিপরীত মেরুর দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মধ্যপন্থী দলের সঙ্গে জোট বাঁধা সহজ। দেখা যায় কট্টর দক্ষিণপন্থী ও রক্ষণশীল দলের সঙ্গে বামপন্থী এমনকি মার্ক্সবাদী দলও জোট বেঁধেছে। তারা মনে করে জোট বেঁধে আন্দোলন বা নির্বাচন করলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায়। এক দল বা ব্যাক্তির স্বৈরাচারী শাসনের চেয়ে সরকারে বিভিন্ন দল-মতের অংশগ্রহণ থাকুক, জনগণ সেটাই ভাল মনে করে ভোট দেয়। যাঁরা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন তাঁরা বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন হন এবং জাতীয় স্বার্থে আত্মত্যাগ করতে দ্বিধা করেন না। বহুদলীয় জোটের সরকার মালয়েশিয়ায় দেখা যাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বহুদলীয় জোটের সফল সরকার বহুদিন ছিল। জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বর্তমান সরকার কার্যত কোয়ালিশন সরকার। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সেটা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সে চর্চা হচ্ছে।
বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট গঠিত হয়েছে অনেক আগেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোটের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। কয়েক মাস থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ কয়েকটি সমমনা দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন, যোগাযোগ রাখছেন। অন্যদিকে বিকল্প ধারার বি চৌধুরী, গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না দীর্ঘদিন থেকে পৃথক ভাবে বৃহৎ ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছিলেন। এই আলোচনা সরকার ভালভাবে না নেয়ায় কিছুদিন আগে আবদুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠকে বাধা দেয় পুলিশ। দীঘদিন আলাপ আলোচনা ও প্রক্রিয়ার পর বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়। ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ওই ফ্রন্টে যাননি ঐক্য প্রক্রিয়া’র কারণে। তবে ২৮ আগষ্ট ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি চৌধুরী এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠক শেষে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি চৌধুরী বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এই লক্ষ্যে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য আমরা একটি সাব কমিটি গঠন করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের যৌথ নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। ২২ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাবেশ হবে। সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা হবে। অভিন্ন বক্তব্য দেন প্রবীণ রাজনীতিক কামাল হোসেনও।
সুত্র জানায়, বিগত এক বছর ধরে বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের চেষ্টা চলছে। সেখানে জাসদের আসম রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী ও নাগরিক এক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না প্রতিটি বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু হঠাৎ করে আবদুল কাদের সিদ্দিকী যুক্তফ্রন্টে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন; জানান কামাল হোসেন না গেলে যাব না। আবার এখন জাতির বৃহৎ স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ‘বৃহৎ ঐক্য প্রক্রিয়া’ গঠনের ব্যাপারে বেঁকে বসেন। হঠাৎ করে ঘোষণা দেন শেখ হাসিনার অধীনেই তিনি নির্বাচনের পক্ষে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাতে রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষ্যে তিনি ড. কামাল ও বি চৌধুরীকে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের পরিবর্তে পৃথক ভাবে জোট গঠনের প্রস্তাব দেন। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাকে দিল্লীর কংগ্রেসীয় সুতার টান হিসেবে অবিহিত করছেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন জমানায় মস্কোয় বৃষ্টি হলে ঢাকায় কমিউনিস্টরা মাথায় ধরতেন ‘ছাতা’। চীনে কিছু ঘটলে ঢাকায় ঘেউ ঘেউ করে উঠতেন। কারণ তারা এদেশের জনগণের নয় ওইসব দেশ থেকে নিয়মিত ফুয়েল পেতেন এবং ওইসব দেশের স্বার্থ-আদর্শের রাজনীতির চর্চায় ছিলেন অভ্যস্ত। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতার হঠাৎ পরিবর্তনের রহস্য অজানা। বি চৌধুরী, ড. কামালের সঙ্গে বছরের পর বছর বৈঠক করে কংগ্রেসীরা অখুশি হয় সে ভয়ে এখন সুর বদল করেছেন। ওই পথে নতুন সুর তুলেছেন ২০ দলীয় জোটের শরীক এলডিপির সভাপকি কর্ণেল (অব) অলি আহমদ। তিনি জন্মদিনে মোদীর সুভেচ্ছ পেয়েছিলেন; কিছুদিন আগে ১৫ দিন ভারত সফর করেন। তিনি কখনো বেগম জিয়ার মুক্তির আগেই আসন ভাগাভাগির দাবি করছেন; কখনো গণফোরাম, বিকল্পধারা জাসদ, নাগরিক ঐক্যের নেতাদের গণবিচ্ছিন্ন অবিহিত করে তাদের সঙ্গে জোট গঠনের বিএনপিকে না এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। বিএনপি নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁর নিজের গণভিত্তি কতটুকু সে সম্পর্কে অবশ্য কিছুই বলছেননা। জাতীয়তাবাদী এই নেতাও কী দিল্লী বটিকায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিরোধী শিবিরে ঐক্য জোট গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আহূত ২২ অক্টোবরের সমাবেশ থেকে বৃহত্তর জোট গঠনের বিষয়ে একটি ঘোষণা দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ঢাকায় কর্মরত সব বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানাবেন। বাম ধারার দলগুলোসহ প্রায় অর্ধশত দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের সামনে তিনি জোট গঠনের রুপরেখা তুলে ধরবেন। বিএনপির এই জোটে বিকল্পধারা, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণদলসহ অর্ধ শতাধিক রাজনৈতিক দল থাকছে। নতুন এ জোটের সম্ভাব্য নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকভাবে ‘জাতীয় যুক্তফ্রন্ট’ ‘জাতীয় ঐক্য পরিষদ’ ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ বা ‘বৃহত্তর ঐক্য ফ্রন্ট’ নামগুলো বিবেচনায় রয়েছে। এই জোট গঠনের পর দাবি আদায়ে দলীয়ভাবে একক বা জোটের ব্যানারে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচিতে নামতে চায় বিএনপি।
জানা গেছে, জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থাকায় ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর জোট গঠনের পথে দলটি ছিল প্রধান বাধা। এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকায় নির্বাচনে জোটের শরিক দল হিসেবে না ভেবেই বৃহত্তর ঐক্যে গড়তে যাচ্ছেন বি চৌধুরী-ড. কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের স্পষ্ট বক্তব্য ‘কোনো ভাবেই জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য নয়’। সে চিন্তা মাথায় রেখেই অগ্রসর হচ্ছে বিরোধী শিবিরের দলগুলো। রাজনীতির ‘গুণগত পরিবর্তন’ এনেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হচ্ছে। ’৯০ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যে প্রক্রিয়ায় তিন জোটের রুপরেখা প্রণয়ন হয়েছিল, রাজপথে জামায়াতের সঙ্গে যে প্রক্রিয়ায় যুগপথ আন্দোলন হয়েছিল সেই প্রক্রিয়ায় এবারও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন হবে। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নেয়া হবে যে ড. কামাল হোসেন যখন সক্রিয় হবেন তখন সিপিবি-বাসদসহ ৮ দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোট-মোর্চা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়ার প্রয়োজন অনুভব করবে। তারাও মাঠে নামবে। এদিকে ‘ফ্যাসিবাদি দুঃশাসন রুখে দাঁড়ানো ও ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা’র জন্য এ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের। প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সবাবেশে জোটের নেতারা বলেছের, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেললে এবার তা প্রতিহত করা হবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।