Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরবন ও পশুর নদী রক্ষার আহ্বান

মংলায় নৌ সমাবেশে বক্তারা

মংলা থেকে মনিরুল ইসলাম দুলু | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভাঙন, কয়লা দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুন্দরবন ও পশুর নদী রক্ষা করুন। কয়লা এবং তেল দূষণ রোধ করতে না পারলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পশুর নদীর জলজ প্রাণী অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুর নদীর পাড়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে আজ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের দাবি ঋণ চাই না, জলবায়ু ন্যয্যতা চাই। বিশ্বব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাকশন ডে কর্মসূচির অংশ হিসেবে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটাকিপার্স বাংলাদেশ’র আয়োজনে গত শনিবার সকালে মংলার চিলাবাজারে পশুর নদীতে নৌ-সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত নৌসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার মংলার সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন মোংলার সভাপতি শিক্ষাবিদ ফ্রান্সিস সুদান হালদার। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম হাওলাদার, নারীনেত্রী গীতা হালদার, কমলা সরকার, মিনু হালদার, জেলে সমিতির সভাপতি রণজিৎ প্রামাণ্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার নাজমুল হক, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার স্বেচ্ছাসেবক মারুফ শেখ, রাকেশ সানা, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা পশুর নদীর ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়েছে তাদের মধ্যে সরকারি খাস জমি বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সুন্দরবনের প্রাণ হচ্ছে পশুর নদী। ভাঙন এবং দূষণে পশুর নদী ইতোমধ্যে তার জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে। ইলিশ মৌসুমে এখন পশুর নদী ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে যেটা উদ্বিগ্নের বিষয়। অন্যদিকে সুন্দরবন প্রশ্নে সরকারি নির্লিপ্ততা ও সুন্দরবন বিনাশী কার্যক্রমে সারা দেশবাসীই উদ্বিগ্ন। সুন্দরবন রক্ষার আকুতি আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাজার হাজার বছরের পরিপূর্ণতায় যে অনন্য সুন্দরবন তৈরি হয়েছে তাকে সম্পদ, জলবায়ুর ছোবল ও পরিবেশ বিনাশী কোনো কর্মকান্ড দ্বারা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে দেয়া যাবে না। এটি সময়ের দাবি, দেশবাসীর দাবি, সারা বিশ্বের দাবি। ব্যতিক্রমী এ বোট র‌্যালিতে কয়েক শ’ জেলে জাল-দড়ি এবং নৌকা নিয়ে চিলাবাজারের পশুর নদীতে জড়ো হয়। সভাপতির বক্তব্যে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবন কেবল বাংলাদেশের সম্পদ নয় এটি বিশ্ববাসীর সম্পদ।এর ক্ষতি করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। আমরা এই বনের গর্বিত অভিভাবক। এই গর্বের সাথে জড়িয়ে আছে বন রক্ষায় আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রতিঘাত মোকাবেলায় অক্ষত-সতেজ সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য প্রবলভাবে উদ্যোগী হতে হবে।তিনি সুন্দরবন বিষয়ে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির প্রস্তাব সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের ওপর আরোপিত সকল অনিয়ম-অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ