লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসের হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করে আদালতে হাজির করলে তারা ঘটনার দায় করে স্বীকার জবানবন্দী দেয়। আটককৃতরা হচ্ছে,চর শাহী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো.সবুজ (২০),একই গ্রামের মো. আলমের ছেলে রিপাত (২০), ইলিয়াস মেস্তরী এলাছ ছেলে কামরুল (২১) পলাতক আসামীরা হচ্ছে একই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের জালাল আহম্মদের ছেলে আবির হোসেন ভুট্টু ও গবিন্ধপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কামরুল হোসেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসের হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী প্রতিদিনের মত গত শনিবার সকালে মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় কিছুদূর আসার পর আবির হোসেন ভুট্টুসহ এজাহার নামিয় আসামীরা রাস্তায় ওই ছাত্রীর গতি রোধ করে। পরে জোরপূর্বক দাসের হাটের অদূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে স্বীকারোক্তি জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। তারা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পলাতক বাকী ২ জনকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।