Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত

প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘পৃথিবীর জন্য বৃক্ষ’ শিরোনামে গতকাল (শুক্রবার) বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত হয়েছে। পৃথিবীকে মানুষের বসবাসযোগ্য রাখতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্বজুড়েই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বৃক্ষের সঙ্গে মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরিবেশ আন্দোলন ‘পবা’ ‘মৌসুমী ফল উৎপাদনে বিষ, বিপন্ন মানুষ, বিপন্ন প্রকৃতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১১টায় পবা কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ। এ ছাড়াও দিবসটি পালনে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়।
এদিকে ‘পৃথিবীকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বাংলাদেশে যৌথভাবে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালন করেছে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সকালে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে দিবসটি উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করেন তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্মসচিব ) এস এম রেজওয়ান হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা জন ম্যাক কিসিক ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা। কক্সবাজার উখিয়া ক্যাম্পে প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বাস করছে। এ কমিশন তাদের নিয়ে কাজ করে।
পৃথিবীর প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৭০ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়েছে আসছে। জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এর মধ্যেই দিয়েই শুরু হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের সিনেটর গেলর্ড নেলসনকে ধরিত্রী দিবসের প্রবক্তা বলা যায়। ১৯৭০ সালে তার নেতৃত্বেই বিশ্বের জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস শুরু হয়। তার অক্লান্ত চেষ্টায়ই যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ রক্ষা সংস্থা গড়ে ওঠে। এছাড়া দূষণমুক্ত বায়ু, পানি ও হুমকির মুখে থাকা জীব প্রজাতি সম্পর্কে আইন করা হয়। অবশ্য পরে বিশ্বজুড়েই জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
ধরিত্রী দিবসের ২০ বছর পূর্তিতে ১৯৯০ সালে আরেকটি বড় আন্দোলন শুরু হয়। ওই বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ কোটি মানুষ ধরিত্রী দিবস পালন করেন। ওই বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হয় এবং ১৪১টি জাতি বা দেশ তাতে অংশগ্রহণ করে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সিনেটর নেলসনকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেন।
পরিবেশবাদীদের দাবি, আবাসভূমিকে বাঁচাতে আবারো জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে যতটা সোচ্চার আমরা ঝুঁকির শীর্ষে থেকেও ততটা নই। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচাতে এক দিকে যেমন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলন দরকার, তেমনি দরকার নিজের দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলা। এবারের ধরিত্রী দিবসে সেটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ