ইসলাম ও দেশরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ সম্প্রতি হিন্দুদের এক সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে হিন্দুদের জন্য ৩০ আসন সংরক্ষণ করবেন। এছাড়া তিনি ৩ দিন পূজার ছুটি দেয়ার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ করার জন্য হিন্দুদের নিকট দুঃখপ্রকাশ করে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে’ চরমভাবে হেয় করেছেন। নেতৃদ্বয় তার এরূপ ধৃষ্টতার তীব্র নিন্দা করেছেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশটি পাশ্ববর্তী হিন্দু ভারতের ষড়যন্ত্রের শিকার। বহুদিন ধরে ভারতের উগ্রহিন্দু নেতারা দাবি করে আসছে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে একটি অংশ আলাদা করে তা হিন্দুদের দিয়ে দিতে। সেই দাবিরই বহি:প্রকাশ ঘটেছে হিন্দুদের জন্য আলাদা ৩০টি আসন বরাদ্দের ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে। মূলত, এটা বাংলাদেশকে টুকরো টুকরো করার ষড়যন্ত্র।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিজেপি সরকার একজন মুসলিম এমপিকেও নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেয়নি। অথচ বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য সিট আলাদা করে বরাদ্দ দিয়ে তাদের জন্য রামরাজত্বের আয়োজন করে দিতে আগ্রহী এরশাদ।
৯৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হিন্দু আসনের কোন সুযোগ নেই। এরশাদকে সেক্ষেত্রে মুসলিম অধ্যুষিত আসনকেই হিন্দু আসন হিসেবে বরাদ্দ দিতে হবে। তারা বলেন, এদেশের মুসলমানরা এরশাদ ও তার ‘গৃহপালিত’ দলের নয়। মুসলমানদের ওপর কোন হিন্দু এমপি কে ভোট দেয়ার বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দিলে তারা সেটা বরদাশত করবে না।