বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এবার রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে কঠোর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য হাস্যকর। বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলা হয়েছে। আর ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন তাদেরকে ছাড়া জাতীয় ঐক্য কিসের। জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে ক্ষমতাসীনরা এখন এরকমই আবোল-তাবোল বকছে।
স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোটায়। অনেক জরিপ সরকার করেছে। অনেক জরিপের ফলাফল সরকারের হাতে পৌঁছেছে। সব জরিপের ফলাফল একই। সব জরিপে দেখা গেছে যদি আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে আওয়ামীলীগ ৩০টার বেশি আসন পাবে না। বিভিন্ন জরিপ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য আসায় আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়েছে গেছে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই কমিশন একটা টুটো জগন্নাথ। সরকারের পতুল বলা যায়। নির্বাচন কমিশনের যা বলা ও করার কথা তা সরকার ও আওয়ামীলীগ নেতারা করছেন। তাই এই নির্বাচন কমিশনও পুর্নগঠন করতে হবে।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকার আইন সংবিধান উপেক্ষা করে প্রতিহিংসা বিদ্বেষ চরিতার্থ করতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। একটি পরিত্যক্ত নির্জন করাগারে সরকার তাকে আটকে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, অথচ তাকে কোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছেনা। অসুস্থাবস্থায় তাকে বিচারের নামে প্রহসনের সাজা দিতে কারাগারে আদালত বসিয়েছে।
সংবিধান স্পষ্ট বলা আছে কোন অসুষ্থ মানুষের মানুষের বিচার করা যায় না। অথচ এই সরকার আইন-কানুন, সংবিধান সব কিছু উপেক্ষা করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই অসুস্থ খালেদা জিয়ার বিচার নির্জন করাগারে বিচার করছে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসারও দাবি জানান।
সিআরপিসির বিধান অনুযায়ী বিচার হতে হবে উন্মুক্ত উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কারাগারের ভিতরে বিচার প্রক্রিয়া প্রকাশ্য বিচার নয়। অথচ আইনে বলা আছে বিচার প্রক্রিয়া উন্মুক্ত হতে হবে। সরকার আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কথা বলছেন না তারা বলছে কারাগারের গেইট খোলা রাখা হয়েছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জনগণ আর বেশিদিন এই সরকারকে দেখতে চায় না। কোমলমতি শিশুরা রাস্তায় নেমে রায় দিয়েছে তারা রাষ্ট্রের মেরামত চায়। আমরা বলছি নির্বাচনের আগে নির্বাচন পদ্ধতি এবং কমিশনের মেরামত করতে হবে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লা, রফিক শিকদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।