পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটি ঘটনার সূত্রপাত আওয়ামী লীগের কোন না কোন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যেসব ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেছে আজ পর্যন্ত তার কোনো বিচার হয়নি। হবে না এই জন্য যে, অস্ত্রটা তাদের দরকার।
এই অস্ত্র দিয়ে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছে, ভোটের অধিকারের জন্য যারা লড়াই করছে তাদেরকে তারা রুখে দিতে চায়, তাদেরকে তারা স্তব্ধ করতে চায়। সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা ঘটিয়ে একে বিএনপি দমনে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আজকের প্রেক্ষাপট, আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।
কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নানা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ঘটনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, বর্তমানে যারা বেআইনিভাবে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা এবং সামনে আবার নির্বাচনী নির্বাচনী খেলা আসছে সেই খেলায় আবার জয়লাভ করা। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, সরকার এই সব ঘটনার সাথে সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তারা। উদ্দেশ্য বিএনপিকে আবার জড়িয়ে দিয়ে জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার অধিকার আদায়ের জন্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, তার নিরাপত্তার জন্য দাবিতে তা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন থেকে সরিয়ে দেয়া। এই অবস্থার পরিবর্তনে তরুন-যুবকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে যেরকম এই আলোচনা সভায় বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখছি। আমরা যদি একটু এক সঙ্গে হই, যদি একবার একসঙ্গে হুংকার দেই এই সরকার কিন্তু থাকবে না। এই সরকার এখন কাগুজে বাঘ। ছোট একটা টোকা দিলে তারা পড়ে যাবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা একটা খলের সাথে লড়াই করছি। সেই খলের ছলের অভাব নাই, তার দুর্বুদ্ধির অভাব নাই। এই সরকার যারা চালান তারা বুদ্ধিমান নয়, তারা চতুর, তারা ধূর্ত, তারা খল। আমরা যারা লড়াই করতে চাই এটা বুঝেই লড়াই করতে হবে। তা নাহলে লড়াইটাতে জিততে পারবেন না। কোনো সন্দেহ নাই লড়াই একটাই- গণতন্ত্রের লড়াই। তিনি বলেন, এই সরকার সাম্প্রদায়িকতাকে ঘরের মধ্যে পুষে রাখে। যখন দরকার তখন সেটাকে কাজে লাগায়, যখন যখন যেই কৌশল নিলে তাদের ক্ষমতাকে পোক্ত করবার মতো ব্যাপার হয় সেটা করে।
গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, পুরো দেশটা একটা ভণ্ডামীর মধ্যে এসে গেছে প্রতিটা ক্ষেত্রে। আজকে যদি সত্যজিত রায় বেঁচে থাকতেন তাহলে আরেকটা নতুন ঐতিহাসিক ছবি পেতাম- সেটা হলো হীরক রানী দেশ। বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে, একযুগ ধরে রামু থেকে নাসিরনগর, নাসিরনগর থেকে গঙ্গাছড়া, গঙ্গাছড়া থেকে মুরাদনগর, আবার ঘুরে ফেরে কুমিল্লা, হাজীগনজ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম। কাল রাতে বগুড়ার ধুনট। এগুলো কী সরকারের ইন্ধন ছাড়া হচ্ছে?
সংগঠনের আহবায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য আজিজুল বারী হেলালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকোমল বড়ুয়া, রুহুল কবির রিজভী, গৌতম চক্রবর্তী, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, আসাদুজ্জামান আসাদ, মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জহির উদ্দিন স্বপন, খন্দকার আবু আশফাক, আফরোজা আব্বাস, জাসদ (রব) সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকুতি কুমার মন্ডল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ইলিয়াস খান প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আ্উয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আরিফা সুলতানা রুমা প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।