Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাঁচ শতাংশ বেড়েছে রাজস্ব আয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৩ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। ফলে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আয় বেড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ সময় প্রবৃদ্ধি হয় আট শতাংশের মতো।
এবার এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় দুই লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয় ২৯ শতাংশ। রাজস্ব আয়ের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে অর্থনীতিবিদরা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা একেবারেই অবাস্তব। যদিও বাজেট ঘোষণার পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। কীভাবে সম্ভব হবে-সে বিষয়ে অবশ্য সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
এনবিআরের সাময়িক হিসাবে দেখা যায়, জুলাই মাসে মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ১৩ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি বা পিছিয়ে আছে দুই হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। অবশ্য অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আদায় কম হয় এবং লক্ষ্যমাত্রার থেকে পিছিয়ে থাকে। তবে এবার প্রথম মাসে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় একটু কম হয়েছে। এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।
এনবিআরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট আদায় হয় পাঁচ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল পাঁচ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এ সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি এক শতাংশের কম। আমদানি পর্যায়ে জুলাই মাসে আয় হয় চার হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে একই সময়ে আদায় হয়েছিল চার হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এ সময়ে আমদানি পর্যায়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় দেড় শতাংশ। তবে আয়করে অবস্থা ভালো। জুলাই মাসে আয়কর আদায় হয় তিন হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে একই সময়ে হয়েছিল তিন হাজার ৭৪ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আয়করে প্রবৃদ্ধি হয় সাড়ে ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে যে প্রবণতা তাতে দেখা যায়, প্রবৃদ্ধি ১২ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খায়। তবে গত দুই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আহরণ হয় দুই লাখ ছয় হাজার ৪১৫ কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে যে হারে রাজস্ব আদায় হয়, শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুনে তার চেয়ে শতভাগ বেশি আয় হয়। ফলে অর্থবছরের শেষ সময়ে ঘাটতি তেমন হবে না বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজস্ব আয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ