মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শারীরিক নির্যাতন ও কটূক্তি বা গালাগালের মত নিগ্রহের কারণে বিশ্বে কিশোর বয়সী ১৫ কোটি শিশুর শিক্ষাগ্রহণ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে ইউনিসেফের এক সীমাক্ষায়। বৃহস্পতিবার ‘অ্যান এভরিডে লেসন : এন্ড ভায়োলেন্স ইন স্কুলস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের এ সংস্থা বলেছে, বিশ্বে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই বিদ্যালয়ে সহপাঠী অথবা সঙ্গীদের সহিংসতার শিকার হয়। গত এক মাসে কটূক্তি বা গালমন্দের শিকার হয়েছে অথবা গত এক বছরে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, ধনী ও দরিদ্র সব দেশেই শিশুদের শিক্ষাগ্রহণ ও ভালোভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কিছু দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শারীরিক শাস্তি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়নি। এসব দেশে প্রায় ৭২ কোটি শিশুর বসবাস। ২০১৪ সালের জরিপ থেকে উদ্ধৃত করে ইউনিসেফ বলছে, ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ৩৫ শতাংশ মাসে গড়ে এক বা একাধিক দিন গালমন্দ বা কটূক্তির শিকার হয়েছে। বছরে অন্তত একবার শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছে তারা। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার চাবিকাঠি হচ্ছে শিক্ষা। অথচ বিশ্বের লাখো শিশুর জন্য বিদ্যালয় এখনো নিরাপদ স্থান নয়। “প্রতিদিন শিশুরা শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে, গ্যাংয়ে যোগ দিতে তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং কটূক্তি বা গালমন্দ করা হচ্ছে। এছাড়া তারা সরাসরি, অনলাইনে যৌন হয়রানি ও সশস্ত্র সংঘাতের মতো বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। “এই পরিস্থিতি স্বল্পমেয়াদে তাদের শিক্ষা গ্রহণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আর দীর্ঘমেয়াদে তাদের মধ্যে বিষণতা ও উদ্বেগ তৈরি করে। এমনকি তা তাদেরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিতও করতে পারে। সহিংসতা আসলে চিরদিন মনে রাখার মত একটি শিক্ষা;যা কোনো শিশুরই শেখার দরকার নেই।” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিল্পোন্নত ৩৯টি দেশে প্রতি ১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জন সহপাঠীদের কটূক্তি বা গালমন্দের শিকার হওয়ার কথা বলেছে। ২০১৭ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর বিভিন্ন স্কুলে ৩৯৬টি হামলার ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে। দক্ষিণ সুদানে এই সংখ্যা ২৬, সিরিয়ান আরব রিপাবলিকে ৬৭ এবং ইয়েমেনে ২০। কটূক্তি বা গালমন্দের শিকার হওয়ার ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে সমান ঝুঁকিতে থাকলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন ও হুমকির শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিদ্যালয়ে সহিংসতা ঠেকাতে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে নীতিমালা ও আইন বাস্তবায়ন, প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সমাজের বিশিষ্টজনদের আহ্বান জানানোর কথা রয়েছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।