Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

দেশে এক বছরেই শূণ্য দশমিক ৬ শতাংশ সাক্ষরতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, দেশে সাক্ষরতার বর্তমান হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ; যা গতবছর ছিল ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য দেন। ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি পর্যন্ত র‌্যালি এবং এই অ্যাকাডেমিতে আলোচনা সভা হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাক্ষরতা দিবসের বিভিন্ন কর্মস‚চি পালন করা হবে বলে জানান গণশিক্ষা মন্ত্রী।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। নিরক্ষর ব্যক্তি ৩ কোটি ২৫ লাখ। আর বিদ্যালয়-বহির্ভ‚ত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ১০ লাখ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরদের সাক্ষরতা জ্ঞান এবং বিদ্যালয়-বহির্ভ‚ত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনও শতভাগ সাক্ষরতার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, দেশে সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন কর্মস‚চির মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়া হয়। মন্ত্রী জানান, দেশে নিরক্ষরতা দ‚রীকরণে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়ার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) বাস্তবায়ন করছে। দেশের ৫০ লাখ নব্য-সাক্ষরকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মস‚চি পরিচালনা, বিদ্যালয় বহির্ভ‚ত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে এবং কিছু শহর এলাকায় মোট ৫ হাজার ২৫টি আইসিটিভিত্তিক স্থায়ী কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে মোট ৬৪টি স্থায়ী ‘জীবিকায়ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার কার্যক্রম এক সময় বন্ধ ছিল জানিয়ে ফিজার বলেন, এই সরকার ২০১৪ সালে নিরক্ষরদের সাক্ষরজ্ঞান করতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে ৪৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। আমাদের লক্ষ্য যতক্ষণ একজন নিরক্ষর মানুষ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকার এটা চালিয়ে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতের অগ্রগতি কতটা জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি, প্রসেস চলছে। আমরা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালাচ্ছি। আমাদের ৭০০ স্কুলে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণি খুলেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে থাকা বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিগুলো ছেড়ে দিলে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হবে বলে জানান ফিজার। এটা উনারা ছেড়ে দেবেন, আমরা শুরু করব। এটার প্রসেস নিয়ে অনেক টানাপোড়েন আছে, এটা কেবিনেট পর্যন্ত গেছে। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে নিশ্চয়ই সেটার বাস্তবায়ন আমরা করব।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন উন্নীতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখন এটা হবে, তবে এটা পরিত্যক্ত হয়নি, তাদের দাবি প্রত্যাখ্যাতও হয়নি। তাদের বিষয়টি যুক্তিযুক্তভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। আর কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে, আমি মনে করি যারা আন্দোলন করছেন তারাও বুঝবেন যে আওয়ামী লীগ সরকারই শিক্ষার জন্য, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ ছাড়াও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ