পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাগারে বিশেষ আদালত বসিয়ে খালেদা জিয়ার বিচার করা যাবে না সংবিধানের কোথাও এমন লেখা আছে? জেলের মধ্যে বিশেষ আদালত সংবিধানের সুষ্পষ্ট লংঘন কি কারণে? বলে বিএনপিকে প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগি সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলেছে যে, কারাগারে মধ্যে কোর্ট বসানো যাবে না, এটা তো চালু করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। কর্ণেল তাহেরকে জেল কোর্ট করে ফাঁসি দিয়ে ছিলেন-এটা কি ভুলে গেছে বিএনপি? কিভাবে কর্নেল তাহেরর ফাঁসি হয়েছিল কোথায় হয়েছিল? তিনি বলেন, এটা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে, জেলের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা করা যাবে না।
খালেদা জিয়ার বয়স ও শারীরিক অসুস্থাতাজনিত কারণে জেলের মধ্যে বিশেষ আদালত বসানোর বিষয়টি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, বয়স বিবেচনায় তার পক্ষে কোর্টে মুভ করা সব সময় হয়ত সম্ভব না। জিয়া চ্যারিটেবল যে মামলা, সেই মামলাও তো তিনি হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় তাকে হাজিরা দেওয়ার সুবিধা করে দেয়ার জন্য এই বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা।
এর কারণ উলেখ করে তিনি বলেন, অসুস্থ হলেও তো মামলা চলবেই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ১০ বছর বিলম্বিত করা হয়েছে। এই মামলা অনেক আগেই স্যাটেলড হয়ে যেত, এখানে সরকারের কোনো দোষ নেই। সরকার চেয়েছিল মামলাটা যত দ্রুত নিষ্পত্তি হোক কিন্তু বিএনপির বহুরূপী আইনজীবী, এতো বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ আইনজীবীরা; তারা বেগম জিয়ার কেসটা ১০ বছর ধরে চালিয়েছেন। এখনো নানা কৌশলে বিঘ্নিত করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিচারকার্য কারো জন্য তো থেমে থাকবে না। বেগম জিয়া যদি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে না যান, কিন্তু আদালতের মধ্যে যে কোর্ট সেখানে যেতে তো অসুবিধা হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিচার মানে না, আদালত মানে না, সংবিধান মানে না, এটাই হচ্ছে বিএনপির বৈশিষ্ট। এটাই বিএনপির চরিত্র। এটা আদালতের বিষয় আদালতই সেটার জবাব দেবে।
পরে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোলা মো. আবু কাওসার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।