রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় আগামী ২৮ মে ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তাপ। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিএনপির ১১টি ইউনিয়নে প্রার্থী চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ে নাম পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীর তালিকা প্রণয়ন করলেও তা নিয়ে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকলে অনেক নেতাকর্মী এখন ঢাকায় অবস্থান করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং করছেন। তাদের অভিযোগ, জেলা থেকে যাদের নাম পাঠানো হয়েছে এর কয়েকজন ভিন্ন দল থেকে দলে যোগ দিয়েছেন। অনেক ত্যাগী ও জনপ্রিয় প্রার্থীকে বাদ দেওয়ায় আ.লীগে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে হচ্ছে মহাসড়ক অবরোধসহ পাল্টাপাল্টি সভা। বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনের সবুজ সংকেত পেয়ে সবাই গণসংযোগে নেমে পড়লেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রয়েছেন পিছিয়ে। কারণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি কে হচ্ছেন প্রার্থী। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১নং ধর্মঘর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম কামাল, ২নং চৌমুহনীতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সোহাগ, ২নং বহরায় আবু হোসাইন রাসেল (শাহীন), ৪নং আদাঐরে মীর খুর্শিদ আলম, ৫নং আন্দিউড়ায় অলিউল্লাহ, ৬নং শাহজাহানপুরে পারভেজ চৌধুরী, ৭নং জগদীশপুরে আজিজুর রহমান বাচ্চু, ৮নং বুল্লায় শামসুল ইসলাম মামুন, ৯নং নোয়াপাড়ায় আদম খাঁ, ১০নং ছাতিয়াইনে মিনহাজ উদ্দিন কাসেদ, ১১নং বাঘাসুরায় আবদস শহিদ। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও আওয়ামী লীগে মনোনয়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরোধ। গত ৭ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সেক্রেটারির সমন্বয়ে ৬ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড ১১ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করার খবরে ১০ এপ্রিল মাধবপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সভা করে। ১১ এপ্রিল আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশ মনোনয়ন বোর্ড সম্পর্কে কটূক্তি করায় জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে পাল্টা প্রতিবাদ সভা করে এর জবাব দেওয়া হয়। দলীয় সূত্র জানায়, ৭ এপ্রিল হবিগঞ্জের সভায় ১নং ধর্মঘর ইউনিয়নে ফারুক আহমেদ পারুল, ২নং চৌমুহনীতে আপন মিয়া, ৩নং বহরায় আলাউদ্দিন, ৪নং আদাঐরে জহিরুল ইসলাম, ৫নং আন্দিউড়ায় আতিকুর রহমান আতিক, ৬নং শাহজাহানপুরে আব্দুর রাজ্জাক, ৭নং জগদীশপুরে শফিকুল ইসলাম, ৮নং বুল্লায় বশিরুল ইসলাম, ৯নং নোয়াপাড়ায় মোজাহিদ বিন ইসলাম, ১০নং ছাতিয়াইনে খায়রুল হোসাইন মনু, ১১নং বাঘাসুরায় শাহাব উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। প্রার্থী মনোনয়নে জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে ভিন্ন দল থেকে সদ্য যোগদান করা প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করায় আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতারা ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট বিস্তর অভিযোগ দাখিল করে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। দলীয় সূত্র মতে, অন্তত ৫টি ইউনিয়নে প্রার্থী রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। তা দেখার অপেক্ষায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।