পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাসস্টপেজের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেব। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়াও হেলমেট ছাড়া কোনো রাইডারকে তেল পাম্পে তেল না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যানবাহনের পাশাপাশি পথচারীরাও যাতে আইন মেনে চলাচল করে- সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ফুটওভারব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং বা আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পার হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাসব্যাপী ট্রাফিক অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে পুরো সেপ্টেম্বর মাসে এই বিশেষ ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হবে। শুরুতে ঢাকা সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় এ মডেল বাস্তবায়ন করা হবে। পরে তা রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে। গাড়িগুলো যেন সারিবদ্ধভাবে চলে, যত্রতত্র যেন পার্কিং না হয় এবং সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাই এর উদ্দশ্য। আইন ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ কাজে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করবে রোভার স্কাউট। প্রতি পালায় ৩২২ জন স্কাউট বিভিন্ন এলাকায় কাজ করবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলা আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা রকম কাজ করছি। ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সাধ্যমতো আইনগত পদক্ষেপ ও সচেতনামূলক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকে যদি আমরা আইন না মানি তাহলে পুলিশের দ্বারা সম্ভব না সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। ঢাকা মহনগরীতে কোনো ধরনের লেগুনা বা হিউম্যান হলার চলার কথা নয়। আমরা সুষ্পষ্ট ভাবে সুনিশ্চিত করব ঢাকা মহানগরীতে কোনোভাবে লেগুনা চলবে না। লেগুনা চলবে শহরের বাইরে। যেখানে তাদের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঢাকা মহানগরীতে কোন লেগুনা চলতে দেয়া হবে না। তবে যেসব এলাকায় চলাচলের প্রধান মাধ্যম লেগুনা, সেসব এলাকায় বিকল্প কী হবে, সে কথা জানাননি মহানগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাসে চালক ও তার সহকারিদের ছবি টানাতে মালিকদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে থাকতে হবে। শ্রমিকদের সঙ্গে দৈনিক চুক্তিতে বাস চালানো যাবে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যে বাসগুলো চলবে সে বাসগুলোর ড্রাইভারদের বেতন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যারা চুক্তিতে গাড়ি দেবে তাদের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ফুট ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস এবং জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে।
অতিরিক্ত রিকশার কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মফস্বল শহরে চলার অনুমতি থাকা রিকশাও এখন রাজধানীতে চলে আসছে। এসব কারণে শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। ঢাকায় রেজিস্টার্ডভুক্ত নয় এমন যে কোনো ধরনের রিকশা পেলে আমরা জব্দ করব এবং সেগুলো চলতে দেয়া হবে না। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, সড়কে যাত্রীরা যত্রযত্র দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। তাদের শুধু জেব্রা ক্রসিং কিংবা বাস স্টপেজে দাঁড়াতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, গত ছয় মাসে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ৬ লাখ ২৬ হাজার আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও দেখে এক বছরে ৯৯ লাখ মামলা করা হয়েছে। ঈদের আগে যে ১০ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ ছিল, ওই সময়ে ৮৮ হাজার ২৯৩ মামলায় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।