বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইরের স্কুল ছাত্র আরাফাত রহমান সিয়াম আহমেদ (১০) হত্যা মামলার রায়ে ৬আসামীর মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অপর ৩ জনকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিছুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মাসদাইর এলাকার ফারুক মণ্ডলের ছেলে মেহেদী মণ্ডল, মাসদাইরের আরমান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল মতিনের ছেলে ভ্যানচালক আসলাম ও শ্রমিক হালিম। অপহরণের পর গুমের অভিযোগে প্রত্যেককে আরও ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
খালাসপ্রাপ্তরা হলো মাসদাইর এলাকার ফারুক মণ্ডল, স্ত্রী মেরিনা মণ্ডল, বিপ্লব। রায় ঘোষণার সময়ে আসলাম ছাড়া বাকি সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।সিয়াম মাসদাইর এলাকার মোস্তফা মতবরের ছেলে। সে মাসদাইরে আদর্শ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের শান্তিনগর এলাকা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় সিয়ামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা ব্যবসায়ী মোস্তফা বেপারী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ মামলাটির তদন্ত শেষে পুলিশ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এদের মধ্যে পলাতক আসলাম ব্যতীত ৫ আসামিই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসলাম নারায়ণগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিল। স্বীকারোক্তিতে আসলাম জানিয়েছিল, কবুতর কেনা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরেই আরাফাত রহমান সিয়াম আহমেদকে (১০) হত্যা করা হয়েছে। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে সে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।