Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগঞ্জে ৪৬ বছর ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে আবুল কালাম আজাদ | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নে ‘জান মোহাম্মদ’র খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন। এলাকার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘ ৪৬ বছরে পেল না একটি পাকা সেতু! ১১০ ফুট দীর্ঘ ‘জান মোহাম্মদ’র খালের ওপর ওই বাঁশের সাঁকো অর্ধ লক্ষাধিক লোকজনের স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা বশিরপুর-জামালপুর-দেওয়ানবাজার সড়কের বনগাঁও এবং জামালপুর এ দুই গ্রামের মধ্যবর্তী ‘জান মোহাম্মদ’র খালের ওপর প্রায় ৪৬ বছর ধরে ‘বাঁশের সাঁকো’ রয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা অসংখ্য শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এ সেতুটি নির্মাণের কথা ছিল। ১৯৭৩ সালে এ খালের ওপর পাকা সেতু স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম হত্যাকান্ডের পর এ সেতু নির্মাণে আর আলোর মুখ দেখেনি। খবর নেয়নি কেউ! দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী এ সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে থাকে। সহস্রাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আলাপকালে জামালপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ১৯৭০ সালে তৎকালিন প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ‘জান মোহাম্মদ’র খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের বরাদ্দ হয়। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে আসছি। বনগাঁও গ্রামের সেলিম আহমদ, তালতলা গ্রামের এম রাজা চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ