বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগ সঙ্গী করে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। পিচ, ইট-পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুই বছর ধরে মহাসড়কের এই বেহাল দশার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই পরিবহন মালিক, স্টাফ ও যাত্রীদের। বাড়ছে যানজট-দুর্ঘটনা। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৫ কিলোমিটারের অধিকাংশই খানাখন্দকে ভরা।
এ সড়ক দিয়ে নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেন। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন স্থায়ী সংস্কার না করায় মহাসড়কের বিভিন্ন অংশের গর্তগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। পিচ ও ইট উঠে কাদাপানিতে একাকার পুরো সড়ক। বেহাল এ সড়ক দিয়ে হেলেদুলে চলাচল করছে যানবাহন। প্রায়ই বাস-ট্রাক বিকল হয়ে যায়। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ অংশে রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বিশেষ করে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড তেলের পাম্পের সামনের অংশ, বাগমারা বাজার, আলীশ্বর বাজার, লাকসাম অংশে লাকসাম বাইপাস, মিশ্রী, নশরতপুর, রেলওয়ে জংশন, ছিলোনিয়া, ভাটিয়াভিটা, চন্দনা, খিলাবাজার, নাথেরপেটুয়া বাজার, বিপুলাসার বাজার এবং সোনাইমুড়ির বেশকটি জায়গার অবস্থা আরও নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতে এ সব স্থানে জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ গর্তে ইট ফেললেও বৃষ্টিতে তা আবার সরে যায়। লাকসাম বাজারের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, এ সড়কে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করা দুঃসহ ব্যাপার। সুস্থ শরীর নিয়ে বাসে উঠে অসুস্থ শরীর নিয়ে নামতে হয়। প্রতিদিনই এ সড়কের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কে চলাচলকারী উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক কবির আহমেদ জানান, বড় বড় খাদগুলোতে আটকে পড়ার কারণে অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। ১০ টাকা আয় হলে গাড়ি মেরামতে ২০ টাকা খরচ হয়। কুমিল্লা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, এ সড়কে ধীর গতিতে যান চলার কারণে সময় নষ্ট হচ্ছে। যানজট লাগছে, কষ্ট পাচ্ছেন যাত্রীরা। জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক জামিল আহমেদ বলেন, আমরা চাই তাড়াতাড়ি সড়কটি সংস্কার করা হোক। সওজ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, এই সড়ক ফোর লেন করা হবে। তাই স্থায়ী সংস্কারে কিছু সময় লাগবে। অস্থায়ী সংস্কার কাজ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।