বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার ডানতীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ১ মাসে উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া, বরুল ও শীলদহ গ্রামে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে শীলদহ গ্রামের পুরোটাই বিলীন হয়েছে। নদীভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে ৩ গ্রামের কয়েক’শ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনার পশ্চিমপাড়ে ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বেলাগাছা ইউনিয়নের শীলদহ গ্রামটি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক পবিরার ঘারবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া মন্নিয়া ও বরুল গ্রামের ২ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় অসহায় পরিবারগুলো গৃহপালিত প্রাণি, বৃদ্ধা ও শিশুসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নীচে চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছে।
মন্নিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত তাজেম আলী, হাজের আলী মোল্লা, আবেদ আলী, নুন্দু, আন্দা আলী জানায়, এ পর্যন্ত তারা সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। বেলাগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, এ বছর বন্যা মওসুমে তার ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের সাড়ে ৩ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীণ হয়েছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখায় দাখিল করেন নি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ দপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু‘র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান মৌখিক ভাবে নদী ভাঙনের সংবাদ জানালেও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দাখিল করেননি। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ঢেউটিনসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।