বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার ধামরাইয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপকরণ ক্রয় করে তাদের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও তা না করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা উত্তোলন করে নিজের পকটস্থ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় উপরকণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৭১টি। এরমধ্যে অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৯ জন শারীরিক, বুদ্ধি, দৃষ্টি ও বাক প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এসব ছাত্র-ছাত্রী কোন ধরনের প্রতিবন্ধী তা যাচাই-বাছাই বা পরিক্ষা করে যার যে ধরণের উপকরণ (হুইল চেয়ার, চশমা, ক্রেস, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ) বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা ক্রয় করে দেওয়া বাবদ সরকার থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ অর্থবছর পেরিয়ে গেলেও তা দেয়া হয়নি গতকাল পর্যন্ত।
এর আগে এসব শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধী তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তালিকা তৈরি করে গত ৪ মার্চ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন স্বাক্ষর করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠান গত ১০ এপ্রিল। এতেও দেখা যায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারী। এরপর গত চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ভাগ্যেই জেটেনি কোন উপকরণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রায় ১বছর আগে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা প্রেরণ করেছি। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত আমাদের শিক্ষার্থীরা কিছুই পায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। প্রতিবন্ধীদের নামের তালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে কিন্তু তিনি যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করে আমাকে দিতে পারেননি বলে প্রতিবন্ধীদের মাঝে উপকরণ দেওয়াও সম্ভব হয়নি।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ফজলুল হক বলেন, প্রতিবন্ধীদের নামের তালিকা পাওয়ার পর শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বলেছি- যাদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের স্ব-শরীরে আমার কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। এরপর তাদের পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা নির্ধারণ করে দিবেন কার কোন ধরনের উপকরণ লাগবে। কিন্তু তিনি ( শিক্ষা কর্মকর্তা ) কোন শিক্ষার্থীকে আমার কার্যালয়ে পাঠাননি। এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, অর্থবছর শেষ হয়ে গেলেও প্রতিবন্ধীদের নামে বরাদ্দ উপকরণ দেওয়া হয়নি তা দুঃখজনক। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।