Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বৈরশাসনের ব্লু প্রিন্ট বর্তমান শাসনতন্ত্র

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ২:৫৬ পিএম, ৩১ আগস্ট, ২০১৮

দেশের বর্তমান শাসনতন্ত্রকে স্বৈরশাসনের “ব্লু প্রিন্ট” বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হয় না। সেটা পাকিস্তান, ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কোথাও না। অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শাসনতন্ত্রকে এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে, সেখানে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভোটের দরকার নাই। জনগণের ভোট ছাড়া এমপি, মন্ত্রী সব হতে পারে। ফলে একটা বড় সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, গোটা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর শাসনতন্ত্রকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে, সেটিই এখন সমস্যার সৃষ্টি করছে। যারা আওয়ামী লীগকে দিয়ে এটি করিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের বন্ধু না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ এই অবস্থায় গণতান্ত্রিক পার্টি হিসেবে জীবিত থাকতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে গণতান্ত্রিক পার্টি হিসেবে, এই দল গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু আজকে যে শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে, এটা একটা স্বৈরশাসনের “ব্লু প্রিন্ট”। এই “ব্লু প্রিন্টের” ফলে আওয়ামী লীগের যে গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি ছিল সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া, বঙ্গবন্ধু গড়ে গিয়েছিল তা ক্ষুন্ন হয়েছে। এর আগেও বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে এমন কাজ করানো হয়েছে যেটা তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেন না। তিনি বিচার বিভাগের প্রধান বিচারপতিকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা নিয়ে গেলেন, সংবাদপত্রের নিয়ে গেলেন। আজকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পিঠে সে ভূত ওঠেছে। শেখ হাসিনার উচিত এই ভূত তাড়ানো। নাহলে দেশে বিরাট সঙ্কট আছে। গত বুধবার রাতে চ্যানেল আই-এ জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় “তৃতীয় মাত্রা” নামক একটি টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসাইন হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে তারা দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রের শিকার মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এমন ষড়যন্ত্র করে কাজ করা হয়েছে। এই শাসনতন্ত্র দিয়ে আওয়ামী লীগ মারা যাবে। আজকে যদি সংসদ ভেঙে দেয় তাহলে নির্বাচিত সরকার থাকছে না। শেখ হাসিনা থাকতে পারবে না। কারণ নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে শাসনতন্ত্রে। একারণে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। কারণ সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবে না। আবার সংসদ বহাল রেখে, সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আওয়ামী লীগের ভয় কিসে এমন প্রশ্ন রেখে মঈনুল হোসেন বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় না থেকে নির্বাচন করতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ এতজনপ্রিয় দল দাবি করে তারা ক্ষমতায় না থেকে কেন নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে জনগণের সাথে সম্পর্ক জনগণের ভোট দেয়ার প্রশ্ন। আপনি ক্ষমতায় থেকে আপনি সংসদ রেখে ভোট করতে চাইবেন। যে দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও নাই। একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পারলে আমি এখনি এখান থেকে (টকশো) হেটে চলে যাব।
আজকে আওয়ামী লীগের একটা সেইফ এক্সিট দরকার উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার এই ছেলে বলেন, তাদের উচিত ছিল সবাইকে ডেকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করার চিন্তা করা। সিনিয়র ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকলে এটিই করতো। তারা সকলকে ডাকতো, বলতো আসো হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সমঝোতার মাধ্যমে একটা নির্বাচন করি। সেই প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া দরকার। আওয়ামী লীগ এখন এত বড় একটা অসহনশীল সরকার হয়ে গেছে, মনে করে ওর সাথে কথা বলবো না, ওর সাথে কথা বলবো না। যেন রাষ্ট্রটা তার জমিদারি সম্পত্তি। ও রাষ্ট্রদ্রোহী ও রাজাকার। এটা আপনার দায়িত্ব না। এটা ঠিক করবে জনগণ। সে দায়িত্ব তাদের দেন না। একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। জনগণ ঠিক করবে কে রাজাকার, কে রাষ্ট্রদ্রোহী।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে জানিয়ে দেশের অন্যতম প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, নির্বাচন হবে কিনা এ বিষয়ে এখন অনিশ্চয়তা আছে। আওয়ামী লীগ নিজেও এসম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না। শাসনতন্ত্র এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে এরজন্য পার্লামেন্টে যেতে হবে এটাকে পাস করাতে হবে। ওদিকে আবার হাইকোর্টে অবজারভেশন দেয়া আছে। এরফলে এমন একটা সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে যে, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের অভাবে এটা হয়েছে। এটা যারা করেছে তারা আওয়ামী লীগকে একটা স্বৈরশাসকের চিত্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যা আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। এই শাসনতন্ত্র রেখে আপনি ইচ্ছা করলেও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচন চাওয়া মানে আওয়ামী লীগের উৎখাত চাওয়া নয়। আওয়ামী লীগ এতো উন্নয়নের কথা বলে, কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। নির্বাচনে তো জনগণ ভোট দিবে। সেই দল কেন সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে নির্বাচন করতে ভয় পাবে?
রাজনীতিতে কোন সঙ্কট আছে কিনা বা সমাধান কি উপস্থাপকের এমন প্রশ্নে মঈনুল হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়। এটা একটা সিস্টেম। এই সিস্টেমকে সমুন্নত রাখা হলে কারো বির্তক থাকবে না। আমাদের একটা শাসনতন্ত্র আছে, পার্লামেন্ট সিস্টেম আছে। পার্লামেন্টারি সিস্টেমে কিভাবে নির্বাচন হয় সে হিসেবে নির্বাচন হতে হবে। এখানে এমন সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে যে, আপনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিবেন না, আপনি নিজে ক্ষমতায় থাকবেন, নিজে শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করেছেন। আগে যে ধারাবাহিকতা ছিল পার্লামেন্টারি সিস্টেমে সেটা পরিবর্তন করেছেন। অথচ উচিত ছিল অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের অধীনে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে করা। কিন্তু নিজেরা পরিবর্তন করে নিয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা কোথায় আছে পার্লামেন্ট রেখে নির্বাচন করে? আওয়ামী লীগ শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে তারা এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। যারা এটি করিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের বন্ধু না।
ব্যারিস্টার মঈনুল বলেন, ভারতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে করেন। সংসদ রাখবো, নিজের ইচ্ছামত শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে নেব, এটা করে যদি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা আসতো তাহলে আমরা সবাই খুশি হতাম। কিন্তু এটা করে তো সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট সঙ্কট আসছে। তারা সরকার ভালভাবে চালাতে পারছে না। জনগণের ভোট ছাড়া সরকার গঠন করলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে না। কর্মকর্তারা সবাই গণবিরোধী হয়ে যায়। জবাবদিহিতা থাকার অর্থ হলো সকলে মনে করবে জনগণের। মন্ত্রীরা মনে করে নির্বাচন ছাড়াই জিততে পারি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করলে সকলে মনে করে কিসের জনগণ, আমার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্পর্ক আছে। আমি নির্বাচিত হয়ে যাব। ফলে আজকে গোটা সরকারই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। কোন মন্ত্রণালয় ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মন্ত্রণালয় দুর্নীতিতে ভরে গেছে। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে দুর্নীতি নাই। কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এটা বিরাট চক্রান্ত। বাংলাদেশের ঐক্য নষ্ট করা, সকলে একত্রে থাকুক, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করুক এটা যারা চায়না তারাই এটা করাচ্ছে।
আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে মঈনুল হোসেন বলেন, আমি অবাক হই, আজকে আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আবার বলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি রাজাকার আছে। কেন পাকিস্তানি আইয়ুব খানের প্রোগ্রাম বাংলাদেশের সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। উন্নয়নের রাজনীতি আইয়ুব খান করেছে। উন্নয়নের কথা বলে কি সে থাকতে পেরেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার কিভাবে গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে সেই উন্নয়নের রাজনীতির কথা বলে।
গণেশ উল্টে গেলে কি হবে এমন প্রশ্ন রেখে এই আইনজীবী বলেন, রাজনীতিবিদদের দুরদর্শি হতে হয়। আজকে যদি কোন কারণে গণেশ উল্টে যায় আর কালকে আপনাকে একইভাবে জেলে আটকে রাখলে কেমন লাগবে এটাও চিন্তা করা দরকার। ক্ষমতায় ইচ্ছা করলেই থাকা যায় না। সুস্থ্যভাবেও যেতে পারেন, অসুস্থ্যভাবেও যেতে পারেন। তিনি বলেন, বিচারবিভাগের দুর্বলতার কারণে এই সরকার ও বিচার বিভাগ আক্রান্ত হচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ভয়-ভীতির কারণে দুর্বল হয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী আল্লাহর রহমতে হয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিভাবে ৮০জনকে জামিন দিল তা দেখতে হবে। আশ্চর্য, জামিন পাওয়া তার অধিকার। আপনি পুলিশ দিয়ে আটকে রাখবেন, বিনা বিচারে বন্দি রাখবেন এটা কি আইনের শাসন নাকি। এটা আইনমন্ত্রীর কথা হতে পারে নাকি। কোর্ট তাদেরকে ভয় পায়। সকলে ভয় পেয়ে সরকারের ১২টা বাজাচ্ছে। কিছু লোক মিলে বাংলাদেশকে একটা লুটপাটের জায়গা পেয়েছে। শেখ হাসিনাকে আজকে সাহায্য করার মতো সত্যিকারের লোক নাই।
নানা রাজনৈতিক মেরুকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করছে তাদের ভেতরে রাজনৈতিক চিন্তাধারা নাই। ফলে তারা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে না, কম্প্রোমাইজ করতে পারে না। আগে আওয়ামী লীগের এতো গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ছিল, সেই ইতিহাস কিভাবে ধ্বংস করে দেয়া হলো। কারা এটা করলো? এ কে ফজলুল হক সাহেবকে নিয়ে এসে যুক্তফ্রন্ট করলো আওয়ামী লীগ। সব সময় সংগ্রাম করেছে তারা, নির্বাচনে তাদের দল মেজরিটি ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করা হলো ফজলুল হককে। আজকে এই বিষয়টা কল্পনা করা যায়। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বলবে কোন ছোট পার্টির কাউকে আসুন আপনাকে প্রধানমন্ত্রী করবো। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা করবো। আজকে এই চিন্তাভাবনা নাই। আজাকে আমাদের এমন ঐক্য দরকার যে ঐক্য শাসনতন্ত্র রক্ষা এবং প্রতিষ্ঠা করবে। শাসনতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, এখন সংসদীয় শাসনতন্ত্র নাই। এটা ইচ্ছামত পরিবর্তন করে গন্ডগোল বাধানো হয়েছে। এটা পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক চরিত্র ধ্বংসের শাসনতন্ত্র করা হয়েছে। যারা করেছে তারা চালাকি করেছে। শাসনতন্ত্র বদলের কথা বলছেন কিনা এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, নিশ্চয়ই। নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য পরিবর্তন দরকার। শাসনতন্ত্র হলো একটা ব্যবস্থা। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিজের মতো করে যেটা পরিবর্তন করেছেন সেটা পরিবর্তন করতে হবে। ভারতের মতো নির্বাচন তো আপনি করতে পারবেন না। কারণ শাসনতন্ত্রে সেটা নাই।
সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় কি এমন প্রশ্নে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থা না মেনে গায়ের জোরে এককভাবে যদি শাসনতন্ত্র পরিবর্তন করে বলেন আমি ক্ষমতায় থাকবো, পার্লামেন্টে থাকবো যেটা পৃথিবীর কোথাও দৃষ্টান্ত নাই। এটা গায়ের শক্তির কথা। গায়ের শক্তি যাদের আছে তারা প্রয়োগ করবে। যারা গণতান্ত্রিক, জনগণের আস্থার সরকার হয় তারা সব জায়গায় ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ায় না। যে সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নাই সে সরকারে সব সময় একটা অস্থিরতা থাকে। এই সরকার একটা বিরাট ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে তারা যদি উত্তোরণ করতে না পারে তাহলে তাদের ধ্বংস তারা নিজেরাই আনবে। সঙ্কট দূর করতে না চাইলে, ইচ্ছা না থাকলে গায়ের জোর দেখাতে চাইলে অন্যরাও গায়ের জোর দেখাতে চাইবে, দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র হবে। মনে রাখতে হবে শাসনতন্ত্র বন্ধু। এটাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আজকে শেখ হাসিনার সরকার খুব ভালভাবে চালাতে পারতেন। যদি বিচারবিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিত, সংবাদপত্রের ঠিকমত কাজ করতে দিত, পার্লামেন্টে একটা বিরোধী দলকে পালা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমরা, এমনকি হাসিনাও আন্দোলন করেছে। সেই এরশাদের সাথে তার আতাত হয়েছে। ক্ষমতায়ও থাকবো, বিরোধী দলেও থাকবো, আশ্চর্য! রাষ্ট্র চালানোটা কি কি কোন ছেলে খেলা নাকি? রাষ্ট্র চালানো মানে বাঘের পিঠে থাকা। সাবধানে থাকতে হয়।

 



 

Show all comments
  • MD. Nazrul islam ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 2
    বর্তমান সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে । জনগণ ও সরকারের পক্ষে আছে। অতএব সরকারের উচিত দেশের শান্তির কথা চিন্তা করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আর এই কথাটাও সত্য যে কে রাজাকার কে মুক্তিযোদ্ধা এটা জনগনই জানে এবং ভোটের মাধ্যমে জনগণ এটা প্রমাণ করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ এমদাদউল্লাহ ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ৭:১১ এএম says : 1
    ভাই আমি যদি আমার মনের কস্ট অথবা সরকারের বিরুদ্বে দু একটা কথা হয়ে যায় তাহলে বিরাট মসিবত এটা সবাই যানে। কেন আপনারা যেমন বাংগালী এ দেশের সন্তান ঠিক আমরাও তাই এ দেশের সন্তান ভাল খারাপ আমরাও বুজি যানি। বাট আমার কথা হল সরকারকে আমাদের বলার কোন অধিকার নেই একটা কথাকে গায়ে মেখে নিচ্ছে এটাই সমস্যা। চোখের সামনে একটা অপরাধ সেটা যদি বলি তাহলে সেটা কি সরকারের বিরুদ্বে হয়ে যায় ভাই কক্ষনো না।এই যে মইনুল হক সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন এখানে একটা কথাও ওনি বানাইয়া বলেন নাই।যদি বানাইয়া বলে থাকেন তাহলে আমি বলব এ কথাগুলো কে চ্যালেঞ্জ নিন।কারন আমরা এ দেশের নাগরিক আমরা প্রতিদিন পেপার পত্রিকায় বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেখি এভাবে গায়ের জোরে সব কিছু চলতে পারেনা ভাই।আমার কথা হল কে কোন পলিটিক্স করে সেটা তার এখতিয়ার।আমি একটা ভুল দেখলাম সেটা যদি আমি বলি তাহলে কি আমি রাজাকার হয়ে গেলাম ভাই।আমি নিজেই একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে পছন্দ করি তার বক্তৃতা শুনলে খুবই ভাল লাগে। এটা একটা স্বাধিন বাংলাদেশ এটা একটা গনত্রান্তিক দেশে বিভিন্ন মতালম্বির মানুষ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।কথা হল আমি যদি জনকল্লানে কাজ করি এমনিতেই জনগনই আমাকে আবার ক্ষমতায় বসাবে। আর আমি যদি বলি না আমিই সব তাহলে সেটা ভুল ধারনা আমার। তাই মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয় অনুরোধ কতে বলছি আমাদের দেশটাকে বাচান প্লিজ কাটাকাটি হানাহানি হিংসাত্মক কথাবার্তা বন্ধ করে জনকল্লানের জন্য যদি কাজ করে থাকেন।সেই জনগনের জন্য হলেও চিন্তা করে। যে ভাবে সুন্দর হয় সে ভাবে সব দলের সাথে আলাপ আলোচনা করে ভাল একটা নিরবাচন উপহার দিন তাহলে সবাই আপনার জন্য দোয়া করবে।আর সংবিধান কোন কুরআন শরিফ না যে এটাকে চেঞ্জ করা যাবেনা। আপনারাই ত বলেন সংবিধান কারো ব্যাক্তি সারথের জন্য না।এটা যদি জনগনের জন্য হয় তাহলে আমি বলব।জ্বালাও পোরাও বাদ দিয়ে সবাই মিলে এ দেশ কে বাচান। আপনারা আপনারা ভাল ঠিকই থাকেন মাঝখানে জনগনের মরন এটা ঠিক না ভাই। সবাই একদিন মরতে হবে এ দুনিয়ায় কেও সারা জীবন থাকব না। তাই মেহেরবানি করে কেও আমার কথায় রাগ করবেন না। পজেটিভ চিন্তাভাবনা করবেন এটাই আমার আশা। আল্লাহ হাফেজ
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ এমদাদউল্লাহ ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ৮:১৮ এএম says : 2
    মেহেরবানি করে আপনারা এ দেশটাকে সুন্দরভাবে চালান।আমরা কক্ষনো জ্বালাও পোরাও এ সমস্ত চাই না।এতে করে মানুষের জান মালের ক্ষতি মারাত্মক হয়।খেটে খাওয়া মানুসদের বেসি ক্ষতি হয়।মালামালের দাম সিমাহিন গতিতে বেরে যায়।ব্যাবসার অবস্থা ত একদম সেস।যাই হক সব দিক দিয়েই বিবেচনা করে আপনারা সবাই শান্ত হোন।
    Total Reply(0) Reply
  • Safiullah ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ৯:২৮ এএম says : 2
    Thanks Brs. Moinul Hosen for good advise for our PM.
    Total Reply(0) Reply
  • Deshpremik Shoinik ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ৯:৪৮ এএম says : 2
    অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি লিখা প্রকাশের জন্য 'ইনকিলাব' কে ধন্যবাদ। ছাত্রজীবনে আমরা যখন 'ইত্তেফাক' পত্রিকার পাতায় তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করতাম তখন থেকেই বুঝতাম জনমত প্রকাশের জন্য বাকস্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা - স্বৈরাচারী পাকিস্থানি শাসকদের বিরুদ্ধে তারপরও জনতা ছিল সোচ্চার - আর এখন মন্ত্রি মিনিস্টারদের বিকৃত মুখভঙ্গি সহকারে গালাগালি শুনতে শুনতে যখন প্রানের কথা উচ্চারণ করতে ভয় হয় তখনি তাদের কথা বা ব্যথা যখন ইনকিলাবের পাতায় কেউ বলছেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাতে ইচ্ছা হয়- 'ইনকিলাব' আর 'ইত্তেফাক' তখন এক হয়ে যায় - '৭১ পূর্ব সময় আর ২০১৮এর সময়টাকে যেন এক মনে হয়? শুধু নেই '৭১ পূর্ব সময়ের জনমতের একাত্ততা।
    Total Reply(0) Reply
  • মাহবুব ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৪ এএম says : 1
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন আত্মতৃপ্তি পেলাম ।আশা--- দেশের সুনাগরিকরা , এভাবে নির্মল,গঠনমূলক মতামত প্রদানে ,সংকট অহিংসভাবে উত্তোরণে দায়িত্ব পালন করবেন ।তা যেন হিংসা-ঘৃণা,জেদ-প্রতিশোধ,একমুখিতা,প্রশংসা মুক্ত , সার্বজনীন দেশের প্রয়োজনে হয় ।অনুজ হয়ে,আগ্রজ উজ্জ্বলবড় ভাই-বোনদের কাছে অনুরোধ রাখছি ।সবাই দেশের সন্তান ।নির্বাচনকে ভয় পাবার কারণ কি বুঝতে পারছেন না ? আত্মবিশ্বাস কখন হ্রাস ? হয়ত মনোবিজ্ঞানীরা ভালো উত্তর দিতে পারবেন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৮ পিএম says : 0
    এখানে ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন সংবিধানের আইনের কথা বলেছেন কিন্তু এই আইনটা কেন করা হয়েছে সেটা নিয়ে তিনি কোন আলোকপাত করেননি। কোন দেশেই সরকার অনর্থক মানে খামাখা কোন আইন করেন না এটাই সত্য। তাহলে কেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এই আইন প্রণয়ন করেছেন সেটাই আমদের সর্বপ্রথম বিচারে আনা দরকার নয় কি?? .....................
    Total Reply(0) Reply
  • ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ২:১২ পিএম says : 0
    Everybody say, Saddam hossain , and Gaddafi Shoiro Shashok chilen and the than killed them. AND, Now what is consequence result in Iraq and Lebia.Gonotontrer duhai dea desh duti borbad . I think, we are not going their way.
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ২:২৫ পিএম says : 0
    পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হয় না। সেটা পাকিস্তান, ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কোথাও না। অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শাসনতন্ত্রকে এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে, সেখানে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভোটের দরকার নাই। জনগণের ভোট ছাড়া এমপি, মন্ত্রী সব হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

২৪ অক্টোবর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ