Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইভিএমে হ-য-ব-র-ল ইসি

পঞ্চায়েত হাবিব : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


ইভিএমে ভোটের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব ইসির
ইভিএম নিয়ে আপত্তি : মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জন
সরকারি দলের ‘হ্যাঁ’ বিএনপিসহ সব দলের ‘না’


ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশনের হযবরল অবস্থা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের বিরোধীতার পর এবার খোদ কমিশনেই ইভিএম ব্যাহারে আপত্তি উঠেছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় কমিশনার মাহবুব তালুকদার আপত্তি জানিয়ে সভা বর্জন করে বেরিয়ে যান। তারপরও নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। তবে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশই সময় এবং খরচ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে। তবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত সরকার মেনে নেবে।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ডিজিটাল কারচুপি সম্ভব বলে দাবি কে ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সভা শুরুর আধা ঘণ্টার মাথায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করে বেরিয়ে যান। পরে তিনি কর্মচারীর মাধ্যমে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ পাঠিয়ে দেন। এরপর তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সিইসি নূরুল হুদা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই মাস আগে নির্বাচন কমিশন যখন সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনছে, তখন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে আইন সংস্কারের উদ্যোগে ভিন্নমত মত পোষণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিয়ে ডিজিটাল কারচুপি সম্ভব দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে যে ভোট ডাকাতি করা যায়, তা আজ বিশ্বস্বীকৃত। ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে আবার হুঁশিয়ার করছি, অবিলম্বে ইভিএম, ডিভিএম ক্রয়ের উদ্যোগ পরিত্যাগ করুন। আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাকে আর ঘনীভূত করবেন না। ডিজিটাল কারচুপির পথ থেকে সরে আসুন। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে এই অপতৎপরতার জন্য মূল্য দিতে হবে। আওয়ামী লীগ এখন জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে মেশিনের উপর ভর করেছে।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেন, ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণের বিধান রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব কয়েক দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়া অনুয়ায়ী তা সংসদে উত্থাপন করা হবে। আইন পাস হলে সারা দেশে ইভিএম প্রদর্শনী হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, পরিস্থিতি কিন্তু সে রকম নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভালো ফল পেয়েছি। প্রয়োজনে যাতে সংসদ নির্বাচন তা ব্যবহার করা যায়, সে প্রস্তুতি নিতেই আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছি। নির্বাচনে যে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজনীতিবিদেরা সম্মতি দিলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং ইভিএম ব্যবহার হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে, মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্ট সম্পের্ক কে এম নুরুল হুদা বলেন, উনার ভিন্নমত থাকতে পারে এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সভা শুরুর আধা ঘণ্টার মাথায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করে বেরিয়ে যান এবং পরে কর্মচারীর মাধ্যমে নোট অব ডিসেন্ট পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি মনে করি, স্থানীয় নির্বাচনে ধীরে ধীরে ইভিএমের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ সমর্থন করি না। ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রদান করছি। এই আপত্তির কারণ হিসেবে ইভিএম নিয়ে বিদ্যমান রাজনৈতিক বিরোধিতা এবং দক্ষ জনবলের অভাব এর কথা বলা হয়েছে ওই নোট অব ডিসেন্টে। গত বছর ফেব্রæয়ারিতে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত তিনটি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
ঘোষিত রোডম্যাপের’ বাইরে গিয়ে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে হঠাৎ করে আরপিও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় কমিশন সভা বর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য উনারা (সিইসি ও তিন নির্বাচন কমিশনার) বসে বসে আরপিও সংশোধন করবেন; আর আমি সেখানে মূর্তির মতো বসে থাকব, তা তো হয় না। এজন্য বের হয়ে এসেছি। মাহবুব তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, আমি এখন আমার অফিসে আছি। আপাতত এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। তার একান্ত সচিব মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন বলেন, স্যার পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নূরুল হুদার কমিশনের আয়োজনেই একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সেই সময় ঘনিয়ে আসায় আপাতত আর আরপিও সংস্কার করা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছিলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধনের তোড়জোড় শুরু হয়। দেড় লাখ ইভিএম কিনতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবও ইসি করামকর্তারা তৈরি করেন। আরপিও সংশোধন নিয়ে গত ২৬ আগাস্ট কমিশনের প্রথম দফা বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। সেই মুলতবি বৈঠক শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর। নির্বাচন ভবনে সিইসির সভাকক্ষে ওই সভায় কমিশনের পাঁচ সদস্যের পাশাপাশি কমিশন সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সভা থেকে বেরিয়ে পঞ্চম তলায় নিজের কক্ষে চলে যান।
সর্বশেষ কমিশন সভার ২৬ অগাস্ট প্রসঙ্গ টেনে সেখানে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে ইসি ওই বৈঠকে তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে বাংলা ভাষায় রূপান্তর, যা একজন পরামর্শক তৈরি করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইংরেজি আরপিওতে সুনির্দিষ্ট কিছু সংশোধন, সংযোজন বা পরিমার্জন। আর সর্বশেষ প্রস্তাবটি ছিল- একাদশ সংসদ নির্বাচনে সময় স্বল্পতার কারণে ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংশোধন। কমিশন সভায় অন্য দুটি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। যা গতকালের সভায় আলোচনার জন্য মুলতবি করা হয়।
মাহবুব তালুকদার বলেছেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে ইভিএম ব্যবহারকে স্বাগত জানানো হলেও প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে আসছে। এ অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহারের কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ইভিএম নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের অবস্থান ছিল পরস্পরবিরোধী। আর সিইসি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলেই কেবল জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আরও আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি লিখেছেন, শুরুতে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল। এজন্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ইভিএম কেনায় আমি ভিন্নমত পোষণ করেছিলাম। স¤প্রতি ৩৮২১ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইভিএম কেনা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন মনে জাগে।
মাহবুব তালুকদার বলেছেন, পরিকল্পনা কমিশন এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করেনি। যে ইভিএম বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে বিনা টেন্ডারে কেনা হচ্ছে, তার কারিগরি বিষয় বুয়েট বা অনুরূপ কোনো সংস্থা থেকে যাচাই করা হয়নি। কারিগরি দিক থেকে এ যন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করা হয়নি।
গত বছর অংশীজনদের সঙ্গে ইসির সংলাপে আলোচিত বিষয় ছিল ইভিএম। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছিল। ২৩টি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছিল। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১২টি দল ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দেয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল ইভিএমের পক্ষে। তিনটি দল পরীক্ষামূলক ও আংশিকভাবে এবং একটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছিল। ইসি এত দিন বলে এসেছে, সব দল না চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। এখন তারা বলছে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা তাদের আছে, তবে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
কিন্তু এর মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসিকে ইভিএম সরবরাহ করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)।নির্বাচনব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করতে চায় ইসি। অবশ্য ১৯ আগস্ট এই প্রকল্প নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এই হযবরল অবস্থার মধ্যেই গত জুলাই থেকে ইভিএম আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ জন্য ঋণপত্র খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। চীন, হংকংসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে ইভিএম ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি এনে বিএমটিএফ তা নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করবে বলে নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৯৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণপত্র খোলা হয়েছে। যন্ত্রপাতি আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ