পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সহিংসতা করলে বিএনপিকে সমুচিত জবাব
সিলেটে পরাজয়ের পেছনে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেক হয়েছে, কারা কী করেছেন, দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিশ্বাসঘাতকরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করেছেন, নৌকা ঠেকানোর নেতৃত্ব কে দিয়েছেন? এসব আত্মবিনাসী প্রতিযোগীতাকারীরা রেহাই পাবেন না। অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। সব খতিয়ে দেখছি, দোষ প্রমাণ হলে রেহাই নাই- নৌকার বিরোধীতাকারী যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন রক্ষা পাবেন না।
গতকাল বিকালে সিলেট মহানগরীরর রেজিস্ট্রি মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনে রাখবেন যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, বাংলাদেশে আর ২০০১ সালের পুরাবৃত্তি হবে না। সকাল ১০টায় ভোট শেষ সেই নির্বাচন বাংলাদেশে আর হবে না।
দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে কাদের বলেন, দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সব খবর আমরা রাখি। কানাডায় বসে, মধ্যপ্রাচ্যে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারা কোন দেশে কখন কি উদ্দেশ্যে, কি ষড়যন্ত্র করে সেই খবর আমরা রাখি, আমাদের কাছে সেই খবর আছে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের চোরাবালি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বাংলাদেশের জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবো।
বিএনপি সংলাপ চায়-আমরাও সংলাপ চাই। কিন্তু কার সাথে সংলাপ করবো? ২০১৪ সালের নির্বাচনে আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী বিএনপি নেত্রীকে ডাকেননি? তিনি কী উত্তর দিয়েছিলেন? আবার খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী যখন দেখতে গেলেন তখন মুখের উপর দরজা কি বন্ধ করেছিল? সেদিনই খালেদা জিয়া দরজা বন্ধ করে দিয়ে সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএম ব্যবহার আমাদের নতুন দাবি না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যখন সংলাপে বসি, তখনই এই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কম সময়ে নির্ভুল এবং বেশি গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে ইভিএম ব্যবহার করে। সিলেটেও ইভিএমে ভোটে বিএনপি বিজয় লাভ করেছে। তাহলে বিএনপির ইভিএম ব্যবহারে আপত্তি কোথায়?
সভাপতির ভাষণে অশ্রুসিক্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আজকে এখানে নিবাচিত মেয়র হিসেবে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। দলও আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। কিন্তু পারিনি। আর মনোনয়ন চাই না। আমি একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে চাই। এসব কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কামরান। বলেন-‘আমি আর কাত্তে পারি না, আমি কানলে আমার কর্মীরাও কাদে’। তিনি বলেন, জাতীয় বেঈমান খন্দকার মোশতাক জাতির পিতার সঙ্গে মির্জাফরী করেছিলেন। আমরা সকল মুনাফেকী, বেঈমানি ভুলে গিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটে প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবো। এসব কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সিলেটের সাবেক মেয়র। এসময় মঞ্চের সামনের কর্মীরা ‘বেঈমানদের চামড়া তুলে নেব-আমরা’সহ নানা স্লোগান দেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি কোন সহিংসতায় নামলে জনগণকে সাথে নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য এবং আন্দোলনের নামে বিএনপি গত ৪ বছর ধরে কোন আলোর মুখ দেখতে পায়নি। তাদেরকে জনগণ ভয় পায়। কারণ, তাদের আন্দোলন হচ্ছে জ্বালাও পোড়াও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।