এবার
বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করল ছাত্রদল তালা ঝুলিয়ে দেয়ার পর এবার রাজশাহী মহানগর
বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রদল। নগরীর ছয়টি থানা ও তিনটি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই ভাঙচুর চালান। কার্যালয়ের চারটি জানালার কাচ এবং প্রায় ২০টি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকটি টেবিল উল্টে দেওয়া হয়।
পদবঞ্চিতদের এই হামলার সময় নগরীর মালোপাড়া এলাকায় ভুবনমোহন পার্ক সংলগ্ন এই
বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিগুলোর নেতাকর্মীরা সভা করছিলেন। সভা পরিচালনা করছিলেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির
সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লিমন।
ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, ‘গতরাতে আমরা নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা মিনু ভাইয়ের (
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু) বাসায় তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি রাজনৈতিক চর্চার জন্য আমাদের দলীয় কার্যালয়ে বসতে বলেছিলেন। সে অনুযায়ী আমরা বসেছিলাম। তখন লাঠিশোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আমাদের বের করে দিয়ে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।’
এমদাদুল হক বলেন, ‘যারা হামলা করেছেন তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে মেলামেশা করেন। হামলায় কতিপয় যুবদল নেতা এবং অছাত্ররাও ছিলেন। পদবঞ্চিতরা তাদের এনে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
গত শনিবার নগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, শাহমখদুম, কাশিয়াডাঙ্গা ও চন্দ্রিমা থানা এবং রাজশাহী কলেজ, সিটি কলেজ এবং নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রদল। এসব কমিটিতে পদ না পেয়ে রবিবার দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। পরে বিকালে নতুন কমিটির নেতারা তালা ভেঙে পরিচিতি সভা করেন।
রবিবার দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়ার সময় মহনগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আরিফুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন। সোমবারের ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনা শুনে তিনি দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে তিনি কাউকে পাননি।
আরিফুজ্জামান বলেন, নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা সভা করছিলেন। আমাদের ছেলেরা গিয়ে তাদের বের হয়ে যেতে বলে। তখন নতুন কমিটির নেতারা আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত তোলেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোঁড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এটা দুঃখজনক।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে যায়। দলীয় কার্যালয়ে কোনো ছাত্রদলের নেতাকর্মীকেই পাওয়া যায়নি। এজন্য কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি।