Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পর্যটকে মুখরিত সুন্দরবন

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কোরবানির ঈদের ছুটিতে পর্যটকের (ইকো-ট্যুরিস্ট) পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বন প্রহরীদের। সুন্দরবন বিভাগ জানিয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে আশা প্রতিবেশ-পযর্টকদের এ ভিড় থাকবে আরো এক সপ্তাহ ধরে।
ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি জীব-বৈচিত্র্যের আধার। সুন্দরবন শুধু দেশের নয়, বিশ্বের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবসহ ছুটির দিনগুলোতে অনেক বেশী দেশী-বিদেশী প্রতিবেশ-পর্যটকরা ছুটে আসে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রেটি দূরত্বের দিক দিয়ে লোকালয়ের সবচেয়ে কাছের ও দর্শনীয় হওয়াতে সাধারণত প্রতিবেশ-পর্যটকের ভিড় সারা বছর লেগেই থাকে। করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ফুট টেইলার, সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, লবন পানির কুমির, মায়া ও চিত্রল হরিণ, বানর ও বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বাটারগুল বাচকাসহ বিভিন্ন পশু-পাখি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দেখে আনন্দ উপভোগ করে থাকেন প্রতিবেশ-পর্যটকরা। করমজল ছাড়াও হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা ও কচিখালী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপস্থিতি বিগত সময়ের তুলনায় কয়েক গুন বেড়েছে।
করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে গতকাল শনিবার দুপুরে কথা হয়, চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে রবিউল ইসলাম ও সিলেটের গোয়াইনঘাটের মাসুদ রহমানের সাথে। তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের বন্যপ্রানিসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দেখে উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, সুন্দরবন দেখতে আসা সার্থক হয়েছে। একই সাথে সুন্দরবনের প্রতিবেশ-পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে অধিক সংখক বাথরুম-টয়লেটসহ নদী থেকে ওঠানামার পাকা জেটিসহ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান।
সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও গোলাম রহমান বিটু বলেন, প্রতি বছরই সুন্দরবনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিবেশ-পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য এই মুর্হুতে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরো বেশি আকর্ষনীয় ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ভিড় হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তাদের সার্বিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স¦ল্প সংখ্যক প্রহরীদের। তারপরও সাধ্য অনুযায়ী সেবা ও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। দেশ-বিদেশ থেকে আশা প্রতিবেশ-পযর্টকদের ভিড় আরো এক সপ্তাহ ধরে থাকবে। তিনি আরো বলেন, সরকারী বরাদ্দের অভাবে করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের দর্শনার্থীদের চাহিদানুযায়ী দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ