পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গণমাধ্যমকে আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ৫টি দৈনিকে ২০১৭ সালে প্রকাশিত জলবায়ু বিষয়ক খবর পর্যালোচনা করে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনাকালে তারা এ আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভ‚মিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট-এর মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর। উন্নয়ন সংগঠন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, বাংলাদেশ (এনসিসি’বি) ট্রাস্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনসিসিবি’র কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্ণালিষ্ট এসোসিয়েশসের যুগ্ম সম্পাদক নিখিল ভদ্র।
জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, এক সময়ে সরকারী অর্থে রাস্তার পাশে ইউক্যালিপটার গাছ লাগিয়েছি। আবার সারাদেশে ব্যাপকহারে নলকুপ বসিয়েছি। যে বিষয়গুলো পরিবেশের জন্য সংকট তৈরি করেছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছি। তিনি বলেন, জলবায়ু ইস্যুটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত। দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনার পর প্যারিস চুক্তি হলো। এরপর ট্রাম্প সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির জন্য তারাই বেশী দায়ি। ফলে সম্মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া এই সংকট মোকাবেলা অসম্ভব। তিনি জনসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমে আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সাংবাদিক কাওসার রহমান বলেন, জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে সারাবিশ্বেই এর গুরুত্ব কমে গেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমেনি। তাই গণমাধ্যমকে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো বিশেষ উদ্যোগ নিবে বলে আশাকরি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেকেই এলাকা, এমনকি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আবারো দূর্যোগের কারণে এলাকায় খাদ্য সংকট ও ফসলী জমি নষ্ট হয়েছে। এই অবস্থায় বিপন্ন মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। আর সরকারকে এই কাজে বাধ্য করার জন্য গণমাধ্যমকে আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।