Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জোড়াতালির মহাসড়কে ঈদযাত্রা

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। একদিকে দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের কাছে পাওয়ার আকুতি অন্যদিকে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার ব্যাকুলতা। সব মিলিয়ে চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে যেতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের। তবে এবার আনন্দ ম্লান করে দিচ্ছে ভাঙাচোরা সড়ক। দিনে দিনেই মহাসড়কে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে। ক্ষতি হচ্ছে সময় ও অর্থের।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যাত্রীদুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙাচোরা থাকার খবর উদ্বেগজনক। জানা যায়, মাস দুই আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যেসব স্থানে জোড়াতালি দিয়ে সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সেসব পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। মাত্র দুই-আড়াই মাসে মেরামত করা সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। কুমিল্লা-চাঁদপুর ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি র্দীঘদিন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় থাকলেও অর্থসঙ্কটের কারণে তা মেরামত কাজ শুরু করতে পারিনি। অপরদিকে, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি বছরের পুরো সময়জুড়েই থাকছে খানাখন্দ, গৌরীপুর- মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার সড়কটির অবস্থা আরো করুন। গৌরীপুর-হোমনা সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
কুমিল্লা-চাঁদপুর ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ক্ষত-বিক্ষত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ছাড়াও কুমিল্লা থেকে প্রতিদিন নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষèীপুর জেলা সদরসহ গন্তব্যে পৌঁছতে শত শত বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ নানা যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী এই সড়ক ব্যবহার করেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঁনপুর, বিজয়পুর, রতনপুর, লাালমাই, বাগমারা, আলিশ্বর, হরিশ্চর, লাকসাম জংশন, লাকসাম বাইপাস, লাকসাম দক্ষিণ বাইপাস, কালিয়াচৌ, নাথেরপেটুয়া নামক স্থানগুলোর চিত্র ভয়াবহ।
ঢাকা-রামগঞ্জ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-বেগমগঞ্জ, ঢাকা-লক্ষীপুর, ঢাকা-রামগতি, নোয়াখালী-সিলেট, কুমিল্লা নোয়াখালী-লক্ষীপুর রুটে চলাচলকারী একাধিক যানবাহনের চালকরা জানান, এই সড়কটিতে যানজট না থাকলেও অসংখ্য খানা-খন্দকের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, লিখিতভাবে অতিরিক্ত ওজনের মাটিসহ ডাম্প ট্রাক ব্যবহার বন্ধে অনুরোধ করা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা না মেনে ডাম্প ট্রাক চালানো অব্যাহত রেখেছেন। এতে সড়ক, মহাসড়কে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে খানাখন্দ। বৃষ্টি হলেই পানি জমে। সংস্কার কাজ শেষ করে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারো ওই একই স্থানে খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় ঈদ যাত্রীদের মাঝেও তীব্র ক্ষোভ। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ৪২ কিলোমিটার অংশের নানাস্থানে অসংখ্য খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই কোথাও না কোথাও বিকল হচ্ছে যানবাহন। সংশ্লিষ্ট কাজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, আমরা বৃষ্টির জন্য ভালোভাবে কাজ করতে পারিনি। বৃষ্টি কমে এলে পুরোপুরিভাবে কাজ করে বিটুমিন দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে।
গৌরীপুর-মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার সড়ক ক্ষত বিক্ষত। এই সড়কে চলাচলরত লাখ লাখ মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গৌরীপুর মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়ার জরাজীর্ণ এই সড়কের ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মেরামতের কাজ শুরু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়ক গৌরীপুর-হোমনা সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কারর্পেটিং ঊঠে গিয়ে পানি জমে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে এসব স্থানে গাড়ী উল্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ