Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অপহরণের আট দিন পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা : বানারীপাড়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণের আট দিন পরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে স্কুলছাত্রী অপহরণ ঘটনায় অভিযুক্তরা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পাশাপশি সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছে। এ ব্যাপারে অপহৃত স্কুলছাত্রীর মা নুপুর বেগম ও মামা খোকন জানান, গত ১৭ জানুয়ারি রাজ্জাকপুর গ্রামের ফারুক মহুরীর ছেলে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা দুটি মোটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। এব্যাপারে গত ১৮ জানুয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সুইডেন প্রবাসী লাবুসহ পাঁচজনের নামে ও দুইজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়। এরপর থেকে অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়ার পাশাপশি সমঝোতার প্রস্তাব দিচ্ছে। জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী শাহিন চৌধুরীর মেয়ে ও বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে তার খালা মেরিনা বেগমের রাজ্জাকপুর গ্রামের বাড়ি থেকে স্থানীয় ফারুক মহুরীর ছেলে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা দুটি মোটরসাইকেলযোগে অপহরণ করে। পরে পৌর শহরের কুন্দিহার গ্রামে ফয়সালের বোন জামাই সুইডেন প্রবাসী মাহাবুবুল আলম লাবু তার বাসায় স্কুলছাত্রী ও ফয়সাল একত্রে রয়েছে বলে নুপুর বেগমকে ফোন করে লাবু জানায়। সে অনুযায়ী নুপুর বেগম ও তার বৃদ্ধ বাবা মোসলেম মাঝি, শ্বশুর আব্দুল মালেক হাওলাদার, বোন মেরিনাসহ অন্য আত্মীয়স্বজনরা ওই রাতেই সুইডেন প্রবাসী লাবুর বাসায় গিয়ে স্কুলছাত্রীকে দেখতে পেয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তিনি তাদেরকে চা-বিস্কুট খেতে দিয়ে একটু পরে দেখা করাবেন এবং তাদের মেয়েকে ফেরত দেবেন বলে কালক্ষেপণ করেন। এ সময়ের মধ্যে লাবুর বাসার পেছন থেকে তার শ্যালক ফয়সাল ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে তিনি সহযোগিতা করেছেন বলে নুপুর বেগম লাবুর বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগ করেন। পরে লাবু ওই রাতেই স্কুলছাত্রীকে ফেরত দেবেন বলে তাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন। রাতভর স্কুলছাত্রীর পরিবার তার কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সুফল না পেয়ে গত ১৮ জানুয়ারি সকালে ছাত্রীর মা নুপুর বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, মামলাটি তদন্ত ও ভিকটিমকে উদ্ধার করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসআই জসিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণের আট দিন পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ