পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঈদের আগে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ পাইকারি বাজারে বেশির ভাগ মসলার দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচ ও দারচিনির দাম। মূলত ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় বেশির ভাগ মসলার দাম বাড়তির দিকে রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে জিরার দামে। মসলাটির দাম আগের তুলনায় কেজিতে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা কমেছে।
গতকাল নিতাইগঞ্জে মসলার পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ভালো মানের এলাচ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও এসব এলাচ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে গতকাল কিছুটা নিম্নমানের এলাচ বিক্রি হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগের এ এলাচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫৪০ টাকা। সেই হিসাবে, সপ্তাহান্তে নিতাইগঞ্জে মসলাপণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা।
একই চিত্র দেখা গেছে দারচিনি ও লবঙ্গের দামেও। গতকাল স্থানীয় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দারচিনি বিক্রি হয় মানভেদে ২৬০-৩০০ টাকায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মসলাপণ্যটি মানভেদে কেজিপ্রতি ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, দারচিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা বেড়েছে। একইভাবে গতকাল প্রতি কেজি ভালো মানের লবঙ্গ বেচাকেনা হয় ৯৬০-৯৮০ টাকায়। সপ্তাহান্তে পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। কিছুটা নিম্নমানের লবঙ্গ বিক্রি হয় ৮৬০-৮৭০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এসব লবঙ্গ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫০ টাকায়।
নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল বাড়তি দামে গোলমরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিন কালো গোলমরিচ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসলাপণ্যটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন সাদা গোলমরিচ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পণ্যটি কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, ১৫ দিনের ব্যবধানে সাদা গোলমরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
বেশির ভাগ মসলার দাম বাড়লেও ব্যতিক্রম ছিল জিরার বাজার। গতকাল নিতাইগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয় মানভেদে ৩২৫-৩৫০ টাকায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পণ্যটি কেজিপ্রতি ৩৩৫-৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, ১৫ দিনের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।
নিতাইগঞ্জের আরিফ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান বলেন, ঈদ সামনে রেখে স্থানীয় পাইকারি বাজারে মসলার দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বাড়তি দামের কারণে নিতাইগঞ্জেও মসলার দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। মূলত ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় বেশির ভাগ মসলার দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে জিরার সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়তি থাকায় পণ্যটির দাম কমে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।