পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ২৩টি আসনে নির্বাচন করেছেন সবকটিতে জিতেছেন। আপনারা (সরকার) সেই নেত্রীকে একটি ফালতু মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখবেন, আর বাংলাদেশের মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখবে এটা হবে না। সামনের দিনগুলো আসছে দেশের মানুষ প্রকাশ্যে এ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।’
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া, তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান রহমান শিমুল বিশ্বাস ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর মুক্তির দাবিতে এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘আমরা এখনও কিছুই করি নাই, বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার জন্য আমরা সেটা করছি। শুধু হাতে একটি কালো ব্যাচ ধারণের কর্মসূচি করেছি তাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১/১১ এর গন্ধ পাচ্ছেন’
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘১/১১ এর কাজটা তো আপনারাই (আওয়ামী লীগ) করেছিলেন। গন্ধ তো আপনারই পাবেন। প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে এসেছিলেন। আবার হাসিমুখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এটা দেশের মানুষ সবাই জানে।’
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘শুধু গণ-আন্দোলনের পন্থায় স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। স্বৈরাচারের পতন আরও করুণ ভাবে হয়েছে। হিটলার-মুসিলানীর পতন কি গণআন্দোলনে হয়েছিল?’
আন্দোলন বলে-কয়ে হয় না মন্তব্য করে নজরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি গণ-আন্দোলন মধ্য দিয়েই এই স্বৈরাচারী সরকার পতন করা সম্ভব, সেটা কখন কোথায় কিভাবে হবে সেটা বলা যাবে না। তবে অতি শীঘ্রই হবে। এই স্বৈরাচারের মধ্যেও কিভাবে ছাত্ররা কোটা নিয়ে আন্দোলন করলো এবং কোমলমতি ছাত্ররাও আন্দোলন করেছে। ঠিক একইভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দেশে গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান,নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।