রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
আগামী ২৩ এপ্রিল গুড়া গাবতলী উপজেলা’র ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ফলে শেষ মুহূর্তে চেয়ারম্যান ৫৩ জন, ইউপি সদস্য মহিলা প্রার্থী ১১৫ জন, পুরুষ সদস্য প্রার্থী ৩৮১ জন মোট ৫৪৯ জন প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটাররা ভাবছেন এবারের নির্বাচনে সৎ-যোগ্য ও ভাল প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করবেন। তবে বিএনপি ও আ.লীগ সমর্থিত ভোটাররা ভাবছেন তাদের স্ব-স্ব প্রার্থীর বিজয় হবে। তবুও ঘরে বসে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে বড় দুই দলের কাঁটা এখন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিএনপি ও আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এখন প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। প্রতীক পেয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে আ.লীগের রফি নেওয়াজ খান রবিন (নৌকা), বিএনপির মো. আব্দুল ওহাব মন্ডল (ধানের শীষ)। সোনারায় ইউনিয়নে আ.লীগের তারাজুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির লুৎফর রহমান তারাজুল (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোরশেদুর রহমান (চশমা), মশিউল আলম রিপন (মোটরসাইকেল), রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা (আনারস) ও রাহিদ মোস্তাফিজ (অটোরিক্সা)। কাগইল ইউনিয়নে আ.লীগের শফি আহম্মেদ স্বপন (নৌকা), বিএনপির আগা নিহাল বিন জলিল তপন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রশিদ মোল্লা (আনারস) ও তারেকুর রহমান (মোটরসাইকেল)। দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নে আ.লীগের এড. মো. রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপির আহসান হাবিব সেলিম (ধানের শীষ), জাকের পার্টির আবু তালেব (গোলাপফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সাইফুল (আনারস), রায়হানুল ইসলাম রবিন (চশমা)। গাবতলী সদর ইউনিয়নে আ.লীগের ফারুক আহম্মেদ (নৌকা), বিএনপির মতিউর রহমান কামাল (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও আলমগীর হোসেন (আনারস)। দূর্গাহাটা ইউনিয়নে আ.লীগের আব্দুল মতিন মিঠু (নৌকা), বিএনপির মো. আব্দুল হান্নান (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হক (আনারস), আবু বেলাল (মোটরসাইকেল), আলীমুর রাজী (অটোরিক্সা)। বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে আ.লীগের ইউনুছ আলী ফকির (নৌকা), বিএনপির শফিকুল ইসলাম ভূধন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজা রহমান প্রাং (আনারস), শাহীন ফেরদৌস (চশমা), মাহবুবুর রহমান মাহবুব (ঘোড়া) ও খাদেমুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। নাড়–য়ামালা ইউনিয়নে আ.লীগের আব্দুল গোফফার আলী (নৌকা), বিএনপির ফজলে রাব্বী মন্ডল ফিরোজ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান রঞ্জু (আনারস), একেএম আক্তারুজ্জামান লিটন (রজনীগন্ধা)। নেপালতলী ইউনিয়নে আ.লীগের লতিফুল বারী মিন্টু (নৌকা), বিএনপির জুলফিকার হায়দার গামা (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমান সুজন (মোটরসাইকেল) ও আতরাব আলী ডাবলু মন্ডল (আনারস)। মহিষাবান ইউনিয়নে আ.লীগের ওয়াজেদ হোসেন (নৌকা), বিএনপির মোতাহার হোসেন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (মোটরসাইকেল), জাহিদুল ইসলাম (আনারস) ও ইউনুছ আলী (টেলিফোন), আরিফুল ইসলাম (অটোরিক্সা), আব্দুল মজিদ মন্ডল (চশমা), নুরুল ইসলাম (ঘোড়া) ও আশিকুল ইসলাম (টেবিলফ্যান)। নশিপুর ইউনিয়নে আ.লীগের আব্বাস আলী প্রামাণিক (নৌকা), বিএনপির রাজ্জাকুল আলম রোকন তালুকদার (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী জারর্জিসুল আলম (মোটরসাইকেল) ও নজরুল ইসলাম মিন্টু (আনারস)। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত আসনে ১১৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮১ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করছেন। ইতিমধ্যে মধ্যে ৩ ইউনিয়নে ৪ ইউপি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গণসংযোগ করতে ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন। ভোট ও দোয়া চেয়ে করছেন কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময়। চলছে ভোট প্রার্থনা। তবে বিএনপির সমর্থন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা কোন ভাবেই ছাড় দিতে রাজি নয়। ফলে বিএনপির সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভোটারগণ। তবে বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তৃণমূলে নেতাকর্মী বেশি থাকায় তারা জয়লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তাদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপি, যুব-ছাত্রদল, কৃষক, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিকদল নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটার ও সমর্থকগণ। আর আ.লীগ সমর্থিত নেতাকর্মী ও ভোটাররা ভাবছেন ভিন্নকথা তারা চান আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হবেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভাবছেন বিএনপি ও আ.লীগের মাঝ থেকে এলাকা ভিত্তিক ভোট পেয়ে তারা বিজয়ী হবেন। তবে ৫৪৯ প্রার্থীই জয়লাভের স্বপ্ন দেখছেন। শেষ পর্য়ন্ত নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় ১০টি ইউনিয়নে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মাইকিং ও শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। সভা পথসভা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। ফলে ১১ ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। গাবতলী’র ১১ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। মোট ভোটার ২ লক্ষ, ২৫ হাজার, ৯৮৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ, ১২ হাজার, ৭৮৩ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ, ১৩ হাজার, ২০৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩টি। নির্বাচন বিষয়ে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ আহসান হাবিব জানান, গাবতলীতে ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গাবতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ইউপি নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গাবতলী মডেল থানা ওসি শাহীদ মাহমুদ খান জানান, কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।