পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী কাজী নওশাবার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলামকে প্রধান করে গতকাল এই বোর্ড গঠন করা হয়। নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অসিত চন্দ্র সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেডিসিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স ও নিউরো সার্জারির চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এ বোর্ড গঠন করা হয়।
ঢামেক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বোর্ড সদস্যরা নওশাবার শারীরিক অবস্থা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। তলপেটে ব্যথা ও হাঁটতে অসুবিধার কারণে মূত্র পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। এছাড়া ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে নিয়মিত থেরাপি গ্রহণ ও ভাল ঘুমের জন্য ঘুমের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নওশাবাকে।
সূত্র আরও জানায়, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নওশাবার মানসিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন। চিকিৎসকদের মতে, নওশাবার চলন-বলনে অনেকটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও হতাসার ছাপ দেখা পরিলক্ষ্যিত হচ্ছে। যা তার চেহারা, চলন-বলনে দৃশ্যমান। সে জন্য তাকে মানসিক চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। উল্লেখ্য, নওশাবার মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ অগাস্ট দুপুরের দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ধানমন্ডিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বত্তদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরই নওশাবা তার ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও একজনের চোখ উপরানোর গুজব প্রচার করে। ওইদিনই উত্তরার একটি স্যুটিং স্পট থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাব।
পুলিশ ও ঢামেক সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৩ আগস্ট নওশাবাকে আদালত প্রাঙ্গনে হাজির করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বিকালে পুনরায় তাকে আদালতে হাজির করে জামিন চাওয়া হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় ওইদিন রাত ১০টায় নওশাবাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন নওশাবার স্পাইনাল ডায়রিয়া হয়েছে ও স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা রয়েছে। তখন তাকে এমআরআই পরীক্ষা করতে বললে বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে এমআরআই পরীক্ষা করায় পুলিশ। রাতে এসে রিপোর্ট দেখানোর পর চিকিৎসকরা নওশাবাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, অভিনেত্রী নওশাবা বর্তমানে পুলিশ পাহরায় হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধীনে তৃতীয় তলার ৩৪৬ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে তিনি ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, নওশাবার পাহাড়ায় কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নওশাবার পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢামেকে তার সঙ্গে রয়েছেন।
নওশাবার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ অগাস্ট দুপুরের দিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ধানমন্ডিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বত্তদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরই নওশাবা তার ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও একজনের চোখ উপরানো সংক্রান্ত গুজব প্রচার করে বলে এজাহারে লেখা রয়েছে। ওইদিনই উত্তরার একটি সুটিং স্পট থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।