পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করাসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পরিবহনের ফিটনেস ও লাইসেন্স, পরিবহন ও সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয় দেখতে এবার রাহমশায় নেমেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। গতকাল শনিবার সকালে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত তার নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন পয়েন্টে পরিদর্শন করেছেন। রাস্তায় কোথায় কী সমস্যা সেগুলো চিহ্নিত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যাংক ফ্লোরে মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) এসএম অজিয়র রহমান জানান, আমরা উত্তরা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে নেমে দেখেছি, কোথায় কী সমস্যা রয়েছে- সেগুলো মোটামুটিভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছি, এসব বিষয়ই সভায় তুলে ধরা হচ্ছে। আগামী ২০ আগস্ট সোমবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৭টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। পরিদর্শনকালে দলটি উত্তরা থেকে বিমানবন্দর হয়ে দক্ষিণ সিটির নগর ভবন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক সরেজমিন ঘুরে দেখেন। সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শনকালে এসব এলাকার সব আন্ডারপাস ও ফুটওভার ব্রিজ ঘুরে দেখবেন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে সড়ক ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ত্রুটি চিহ্নিত করা হবে। সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২টি ইউলুপ নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতাও যাচাই করবে পরিদর্শক দল।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান ও মহাপরিচালক-১ গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান এই পরিদর্শন কাজ সমন্বয়ের দায়িত্বে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উপপরিচালক (সক্ষমতা বিকাশ) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ রাসেল কি নোট উপস্থাপন করেন।
সভায় চলাচলের সময় সব গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা, বাসের ভেতর চালক ও হেলপারের বৃত্তান্ত প্রদর্শন, দূরপাল্লার বাসে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্টের ব্যবস্থা রাখা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলড অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবারের সভা থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলোকে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং যানজট নিরসনে এর আগে গৃহীত পদক্ষেপগুলো গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট আবার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর উপস্থাপন করবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ স্কাউট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং শিক্ষা ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।