পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছয় ভেন্টের সুইস সহ সড়ক বিধ্বস্তের আশংকা দেখা দিয়েছে। এর ফলে কলাপাড়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সুইস সংলগ্ন কচুপাত্রা নদীর দুই পাড়ের অন্তত ৫০ হাজার কৃষক কৃষিকাজ নিয়ে। ইতোমধ্যে এ সুইসটির দুই দিকের মূল পিলারের পলেস্তরা খসে পড়ছে। রডগুলো জং ধরে বেরিয়ে গেছে। লোহার কপাটগুলো লোনা পানিতে নষ্ট হয়ে আছে। গেট থাকলেও সব সময় থাকছে খোলা। অনবরত লোনা পানি ওঠানামা করছে। সামনের দুই দিকের গাইড ওয়াল অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের দিকে নির্মিত এ সুইসটির বর্তমানে জীর্ণদশার যেন শেষ নেই। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়ন ও বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া, পঁচা কোরালিয়া ও বগী ইউনিয়নের কৃষকের কৃষিকাজে এই সুইসটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুইসটি দিয়ে পানি ওঠানামার সময় ঝাকুনি অনুভূত হয়। মনে হয় এই বুঝি ধ্বসে পড়বে। প্রতিটি গেটের উপরে ঝোলানো রয়েছে একটি করে বেহুন্দী জাল। যা দিয়ে এই সুইজে মাছ ধরা হয়। এখন সুইসটির কপাট খোলা থাকায় প্রাকৃতিকভাবে পানি ওঠানামা করছে। পানির প্রবল স্রোতে ভিতরের পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধের তিনটি পয়েন্টে প্রায় দুই শ’ মিটার বাঁধের টপসহ স্লোপ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। কাঠালপাড়া গ্রামের মসজিদটি এখন বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে। চলাচলের খালের পাড়ের একমাত্র সড়কটির বহু অংশ ভেঙ্গে গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি এই সুইসটি ফের জরুরিভিত্তিতে নতুনভাবে নির্মাণ করা হোক। নইলে বিধ্বস্ত হয়ে এলাকার ব্যাপক সর্বনাশ হয়ে যাবে। সুইসটি র উপর দিয়ে তালতলীর সঙ্গে কলাপাড়ার সংযোগ সড়ক রয়েছে। প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, সুইসটি রক্ষা করতে না পারলে ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বড় সমস্যা হবে। স্কুলের অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রীর চরম সমস্যা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কচুপাত্রা নদীর উপরে বাঁধ দিয়ে ১৯৬৫ সালে সুইসটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে কয়েকবার নামকাওয়াস্তে কপাট পাল্টানোসহ টুকিটাকি মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপকভাবে সংস্কার করা হয়নি। ফলে বর্তমানে জরাজীর্ণের চরম পর্যায়ে পৌছেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, ৪৪ নম্বর পোল্ডারের সিক্স ভেন্টের এ সুইসটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে এটি এখন আর মেরামত করে সচল রাখার অবস্থায় নেই। নতুন করে করতে অন্তত ৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। আগামি এক দেড় বছরে নতুন করে করার সম্ভাবনার কথা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা। তবে তার কাছে এলাকার লোকজন নতুন করে সুইস ব্যবস্থাপনা কমিটি করার জন্য আবেদন করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।