পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকা থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২ এর সদস্যরা। তারা হলেনÑ জহির আহম্মেদ ওরফে মৌলভি জহির, ফয়সাল আহম্মেদ, মিরাজ উদ্দিন নিশান, তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি, সঞ্জয় চন্দ্র হালদার ও মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন। এদের মধ্যে জহির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত টেকনাফের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। জহিরের ছেলে বাবু গত ২৫ এপ্রিল ধানমন্ডি এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের একটি টিম বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। বর্তমানে বাবু কারাগারে। বাবুর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের ছোট বোন। একরাম গত ২৭ মে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
গতকাল দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, বুধবার রাতে এলিফ্যান্ট রোডের দুইটি বাসা থেকে ইয়াবা, নগদ টাকাসহ ওই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। টেকনাফে জহিরের একটি ওষুধের ফার্মেসি আছে। প্রায় ১০/১২ বছর ধরে মূলত ওষুধ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। জহির প্রায় ১৫ বছর ধরে টেকনাফে সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জহির জানিয়েছে, তিনি ও তার ছেলে বাবু ৫/৬ বছর ধরে ঢাকার বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। গত ২৫ এপ্রিল ধানমন্ডিতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে বাবু এখন কারাগারে। বাবুর স্ত্রী টেকনাফে এছাড়া তার স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামী আব্দুল আমিনও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। জহির তার পুরো পরিবারসহ টেকনাফের কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ইয়াবা ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। পরিবহন সেক্টরের কয়েকজন চালক, হেলপার, ২টি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী ও ঢাকায় কয়েকজন খুচরা বিক্রেতাও রয়েছে এ সিন্ডিকেটে।
মূলহোতা জহির ২৫-৩০ জনের একটি সিন্ডিকেট চালায় বলে স্বীকার করেন। মিয়ানমারে জহিরের প্রতিনিধি বার্মাইয়া আলম। মায়ানমারের মংডু ও টেকনাফে আলমের বাড়িও রয়েছে। সে মংডু থেকে নদীপথে ইয়াবা এনে টেকনাফের নাজিরপাড়া ও জালিয়াপাড়াসহ কয়েকটি জায়গায় মজুদ করে। পরে জহির, তার মেয়ের স্বামী আবদুল আমিন, নুরুল আমিন আটক মমিনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবহন ও কুরিয়ার সার্ভিসে ঢাকায় নিয়ে আসতো। কৌশলে ইয়াবা লুকানোর বিষয়ে মমিন ওস্তাদ।
মমিন বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক ফ্যান, ওয়াশিং মেশিন ও এসির ভেতরে ইয়াবা লুকিয়ে ঢাকায় সরবরাহ করতো। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো এসি ও ফ্যানের কার্টনে লুকিয়ে ৭/৮ দিন আগে দু’বারে ঢাকায় নিয়ে আসে। টেকনাফ বা কক্সবাজার থেকে বাহকে ও কুরিয়ার সার্ভিসে দিয়ে আব্দুল আমিন ও মমিন আকাশ পথে ঢাকায় আসেন। তারা ঢাকায় পৌছে পূর্বনির্ধরিত স্থানে বাহকের বা কুরিয়ার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ইয়াবাগুলো জহিরের বাসায় পৌছে দেয়। পরে টাকা নিয়ে তারা ফিরে যেত।
জহির মূলত ঢাকায় পাঁচজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছে নিয়মিত ইয়াবা সরবরাহ করতো। তবে তদন্তের স্বার্থে এ পাঁচ ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করেনি র্যাব। এর আগে, জহির তার বড় ছেলে বাবুকে নিয়ে কলাবাগান ও ধানমন্ডিতে বাসা ভাড়া নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এপ্রিলে বাবু মাদকসহ গ্রেফতার হলে তারা ধানমন্ডির বাসা পরিবর্তন করে এলিফ্যান্ট রোডে বাসা ভাড়া নেয়। তবে তারা এক জায়গায় বেশিদিন থাকতো না। গ্রেফতারকৃত জহিরের জামাতা আব্দুল আমিন ও তার ভাই নুরুল আমিনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামি।
গ্রেফতার হওয়া ফয়সাল আহাম্মেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি মিচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। তিন বছর ধরে ইয়াবা সেবন করে আসছেন। ধীরে ধীরে ইয়াবা কাবরারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া মিরাজ উদ্দিন র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে প্রথম সেমিস্টারে পড়েন। অন্যদিকে জিজ্ঞাসাবাদে তৌফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে ম্যানেজমেন্টে প্রথম বর্ষে পড়েন। তার কলেজের বন্ধু আটক হওয়া মিরাজ উদ্দিন ওরফে নিশানের সূত্র ধরে মোমিনের সঙ্গে পরিচয়। তিনি গত দেড় বছর থেকে ইয়াবা সেবন এবং ইয়াবা কারবারিতে জড়িত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।