পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জোড়ালো হচ্ছে নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে অংশ নেয়া গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন এ দাবি আন্তর্জাতিকমহলসহ সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ দেশের বিশিষ্টজনেরাও গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করছেন। একই সাথে তাদের ওপর ‘অমানবিক নিপীড়ন’ বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে।
একই সাথে এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকারের সহিংস অভিযান নিয়ে যারা সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন, তাদের গ্রেফতারে কর্তৃপক্ষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই দফায় মূলত গ্রেফতার করা হচ্ছে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ও সাংবাদিকদের। এতে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ কথা বলতে ভয় পাচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক। এর আগেও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ‘৯০-এর আন্দোলনের ছাত্রনেতা, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণ, প্রগতিশীল ছাত্রজোট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, প্রফেসর আনু মোহাম্মদ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রফেসর ফাহমিদুল হক, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাম ছাত্রজোট, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল।
এদিকে, কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার চলছেই। এর সাথে যোগ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানী দেয়ার অভিযোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘উস্কানী দেয়ার’ অভিযোগে ঢাকার বাইরে থেকেও শিক্ষার্থীদের ধরে আনা হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সহিংসতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত ৫১টি মামলায় মোট আসামী ৩৯৬৭জন। এ পর্যন্ত ৯৭জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে ২২জনকে। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার লুৎফুন নাহার লুমা নামের এক শিক্ষার্থীকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার লুমাকে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও ফেসবুকে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে অভিনেত্রী নওসেবাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়।
এদিকে, শেষ হয়ে যাওয়া নিরাপদ সড়ক চাই ও অনেকটাই মীমাংসিত কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারিদের একের পর এক গ্রেফতারের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন যতো যাচ্ছে আতঙ্ক ততোই বাড়ছে।
অপরদিকে, গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক নিরাপদ সড়ক, কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ‘অমানবিক নিপীড়ন’ বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। একই সাথে তাঁরা গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, গত কয়েক মাস যাবত রাষ্ট্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কিছু নিপীড়নের ঘটনা সম্মন্ধে সবাই অবগত আছেন। গত ২৯শে জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে সংবাদ সম্মেলনকে উপলক্ষ্য করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র নেতৃবৃন্দের উপর নির্মম আক্রমণ চালানোর মধ্যে দিয়ে এই নিপীড়নের সূত্রপাত হয়। শুধু আক্রমণ নয়, এই আক্রমণে আহত ছাত্রদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়। এদেরকে গোপনে চিকিৎসা নিতে হয়েছে, সরকারী হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে, এমনকি রাষ্ট্রীয় রোষানলের হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল পর্যন্ত এদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এই ধরনের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব।
বিবৃতিতে বলা হয়, এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত ১১ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে সাতজন এখনও কারাগারে। বাকীরা একরকম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হলো, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ভিসির বাড়ি ভাংচুর, আইসিটি আইন লংঘন ইত্যাদি । কিন্তু এইসব অপরাধের সাথে এই গ্রেফতারকৃত ছাত্ররা কিভাবে সম্পৃক্ত সেটি একেবারেই অস্পষ্ট রয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, যেই প্রক্রিয়ায় তাদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সেগুলো আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মীদের মতে সুস্পষ্ট মানবধিকার লংঘন। এদের মধ্যে আহতরা এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয় নি এবং কেউ কেউ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও অনেক কম।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা আন্দোলনের এই নির্মম অধ্যায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু হয় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় করুণ মৃত্যুর কারণে। স্কুল শিক্ষার্থীদের এই সুশৃঙ্খল আন্দোলন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে ব্যাপকভাবে আন্দোলিত করে। কিন্তু কিছুদিন পরেই আমরা দেখতে পাই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে কোটা আন্দোলনের নির্মমতার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই নিপীড়নের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মাঠে নামলে তাদের ওপরেও অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন এবং বুয়েটের একজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা থানা ঘেরাও করে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বিবৃতিতে দেশবরেণ্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ বলেন, আন্দোলনে উস্কানি’র অভিযোগে ৫১ মামলায় ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সংবাদপত্রের চিত্রে দেখেছি গ্রেফতারকৃত ছাত্র ছাত্রীদের কোমড়ে দড়ি বেঁধে দাগী আসামীদের মতো আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এইসব অত্যন্ত গর্হিত মানবাধিকার লংঘন এবং একটি ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রয়াস। এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, এরা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু এই গ্রেফতারকৃত ছাত্ররা কিভাবে এই গুরুতর অপরাধগুলোর সাথে জড়িত তার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী গণমাধ্যমকে সরবরাহ করে নি। অথচ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপরাধী এবং অপরাধের প্রমাণ গণমাধ্যমে স¤প্রচার করতে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মতোও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সময় গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ঐ ধরনের কোনো প্রমাণ সাধারণ জনগণের কাছে প্রকাশিত হয় নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়ক এই দুই আন্দোলনেই আমরা দেখেছি যে, যেইসব ছাত্ররা পুলিশ এবং সরকারী ছাত্র সংগঠন দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে, আহত হয়েছে, নিগৃহীত হয়েছে তাদেরকেই আবার সম্পূর্ণ বেআইনী প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করে নাজেহাল করা হয়েছে এবং হচ্ছে। পক্ষান্তরে যেই সরকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা এই ভয়ংকর নিপীড়ন সংঘটিত করেছে, তাদের বিস্তারিত পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত একজনের বিরুদ্ধেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। এই ধরনের নির্লজ্জ্ব পক্ষপাতমূলক আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গর্হিত অপরাধ। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এবং শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত এহেন হামলা ও নিপীড়নে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
বিবৃতিতে শিক্ষকগণ বলেন, আর কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, এই উৎসব মুখর পরিবেশে নির্যাতিত এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্ররা এবং তাদের পরিবার নিশ্চিতভাবে খুবই উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা এবং ভীতির মধ্যে দিয়ে যাবেন। এইরকম ভীতিকর এবং উৎকন্ঠাপূর্ণ পরিবেশ এই পরিবারগুলোর উপরে চাপিয়ে দেয়া অত্যন্ত অন্যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ঈদের ছুটিকে ধরপাকড়ের মওকা ধরে নেয়া হয়েছে, কারণ ছুটির মধ্যে সংগঠিত প্রতিবাদ হবার সম্ভাবনা কম।
বিবৃতিতে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করে বলা হয়, আমাদের সন্তানতুল্য এইসব শিক্ষার্থীদের প্রতি আইনের সঠিক প্রয়োগ চাই এবং অন্তত পক্ষে ঈদের আগে জামিনে তাদের মুক্তি চাই। এসব শিক্ষার্থীদের বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনের হাহাকার আমরা প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমে জানছি, পড়ছি এবং এগুলো আমাদের তীব্রভাবে ব্যথিত করছে। তাই আমরা অবিলম্বে আমাদের ছাত্রদের উপর এই অমানবিক নিপীড়নের সমাপ্তির জন্য সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আহবান জানাচ্ছি।
বিৃতিতে স্বাক্ষর প্রদানকারী শিক্ষকরা হলেন; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক, রুশাদ ফরিদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সহকারি অধ্যাপক আশিক মোহাম্মদ শিমুল, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সেলিম হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম, আর রাজী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক সাদাফ নূর, মাহমুদুল সুমন, গৌতম রায়, গোলাম হোসেন হাবীব, নাসরীন খোন্দকার, স্বাধীন সেন, মো.মাইদুল ইসলাম, সুবর্ণা মজুমদার, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, তাহমিনা খানম, কাজী মামুন হায়দার, গীতি আরা নাসরীন, সেলিম রেজা নিউটন, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, আইনুন নাহার, সুদীপ্ত শর্মা, আ-আল মামুন, সহযোগী অধ্যাপক, খাদিজা মিতু, বখতিয়ার আহমেদ, কাজী মারুফ,নাসির আহমেদ,আব্দুল মান্নান, এবং বুয়েটের হাসিবুর রহমান।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসরণ করে গ্রেফতার ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা চলছেই। তবে পুলিশ বলছে, তারা গুজব ঠেকাতে বদ্ধপরিকর। পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গুজব ঠেকাতে পুলিশের হাতে যতগুলো মেকানিজম আছে, তার সবটাই আমরা প্রয়োগ করছি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যারা গুজব ছড়িয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। গত বুধবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। নিজস্ব ওয়েবপোর্টালে ডিএমপি বলেছে, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরিেেপ্রক্ষিতে গড়ে ওঠা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেফতার হয়েছেন ১৬ জন। সিআইডি ফেসবুক পেজে উসকানিমূলক প্রপাগান্ডা ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য, পোস্ট, ফটো বা ভিডিওতে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট না করার অনুরোধ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।