Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুপচাঁচিয়ায় পোটল চাষে স্বাবলম্বী

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মোঃ গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভেলুরচক গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬০) পটল চাষ করে আজ স্বাবলম্বী।
উপজেলা সদরের ভেলুরচক গ্রামের রবিয়া সরদারের ছেলে আব্দুল মজিদ এর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে নিজের বাড়ী ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে আব্দুল মজিদ জানান, তিনি পাশে পূর্ব আলোহালী মাঠে প্রায় ১২ হাজার টাকা বিঘা দরে জমি পর্তন নেন। তার ১১ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করেন। পটলের ২৫ জোড়া (চারা), জালেঙ্গা (মাঁচা) তৈরীর সুতা, বাঁশ ক্রয় ও শ্রমিক (কামলা) সহ তার প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কার্তিক মাসে পটল জমি থেকে উত্তোলন করে তা বিক্রি শুরু করেন। এতি মধ্যে সে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছে বলে জানায়। এখনো প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২ মন করলা বিক্রি করে আসছেন। স্থানীয় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে এ পটল ক্রয় করে। প্রথম দিকে মন প্রতি ৪ শত থেকে ৫ শত টাকা দরে বিক্রি করলে ধীরে-ধীরে এ দাম অনেক কমে যায়। তবুও এই করলা চাষ করেই তার সংসারে ফিরে এসেছে আর্থিক সাচ্ছলতা। তিনি এখন স্বাবলম্বী। এ জমি ছাড়াও সে ভেলুরচক মাঠেও পটল চাষ করেছে। এই পটল চাষের মাধ্যমে এক ছেলে, এক মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিজে এখন পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই আছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, পটল চাষ এখন বছরে ২ বার হচ্ছে। ফলে প্রায় সারা বছরই বাজারে পটল পাওয়া যাচ্ছে। এ এলাকার মাটির উর্বরতা ভালো থাকায় পটলের চাষ বেশ ভালোই হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই পটল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পোটল চাষ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ