বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সকাল ১০টা। এই সময়ে সহপাঠীদের সাথে স্কুলে থাকার কথা থাকলেও গুলশান-১ বøক-এফ এর নিকেতনের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তাহজাবিন রিহমা রশিদ (১০)। মা-বাবা কারো কোনো কথাই শুনছে না, শুধু কাঁদছে। স্কুলশিক্ষকদের অসদাচরণের কারণে রাজধানীর গুলশানের সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মে মাসে ফাইনাল পরীক্ষা অথচ এই সময়ে তাহজাবিন রিহমা রশিদকে বাসায় কাটাতে হচ্ছে। শিক্ষকদের ভয়ে সহপাঠীরা তার সাথে কথা বলছে না।
রিহমার বাবা জি এম হারুন-অর-রশিদ জানান, স্কুলের সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। অন্যান্য দিন এই সময়টা স্কুলের সহপাঠীদের সাথেই কাটাত। কিন্তু গত রোববার স্কুলশিক্ষক শ্যামল বাবু স্কুল চলাকালীন সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের সময় আমার মেয়েকে বিনা কারণে আঘাত করে। বিনা কারণে আঘাতের বিষয়ে মেয়ে জানতে চাইলে শ্যামল বাবু কোনো উত্তর দেননি। পরে এ বিষয়ে মেয়ের মা মাসুমা আক্তার রুমা স্কুলে অভিযোগ করলে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য বলেন প্রিন্সিপাল। স্কুলে গেলে বলা হয়, মেয়ে অন্যমনস্ক ছিল বলে তাকে আঘাত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাহজাবিন রিহমার ক্লাস রিপোর্ট ভালো না। জি এম হারুন-অর-রশিদ জানান, অথচ গত মাসের প্যারেন্টস রিপোর্ট থেকে শুরু করে লেখাপড়া সবকিছুতেই ভালো হিসেবে বলা হয়েছে। হঠাৎ করে কেন খারাপ বলছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই স্কুলে আমার বড় ছেলে জি এম মেহরাব রশিদ পড়তেন। নবম শ্রেণী পাস করার পর এই স্কুল থেকে অন্য স্কুলে দেয়ার জন্য ছাড়পত্র চাইলে সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সামিহা জামান, রোজী সিদ্দিকী এবং সোরাইয়া হোসেন ছাড়পত্র দিতে অনীহা প্রকাশ করলে এ নিয়ে তাদের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়। এছাড়াও সম্প্রতি ‘টিউশন ফি’ বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় তারই রেশ ধরে তাহজাবিন রিহমার সাথে খারাপ আচরণ করছে।
গতকাল সকাল ১০টায় গুলশানের নিকেতনের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসায় বসে কাঁদছে তাহজাবিন রিহমা। রিহমা জানায়, সহপাঠীরা কথা বলে না, তাদেরকে তার সাথে মিশতে দেয়া হয় না। এমনকি সহপাঠীরা তার সাথে মিশলে শিক্ষকরা তাদেরকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) ধরিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাহজাবিন রিহমা ক্রন্দনরত অবস্থায় জানায়, সহপাঠীরা কেউ আমার সাথে কথা বলে না। আমাকে ক্লাসে আলাদাভাবে রাখা হয়। তাই আর স্কুলে যাবো না।
এদিকে স্কুলে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় এ বিষয়ে গত সোমবার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন রিহমার বাবা জিএম হারুন-অর-রশিদ। ডায়েরি নং-১২৫১ (১৮/০৪/২০১৬)। গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এখনো স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তিন প্রিন্সিপালের একজন সোরাইয়া হোসেন। তার সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে প্রথমে রিং গেলেও পরে ব্যস্ত করে রাখেন মোবাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।