Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় চামড়া পাচারের শঙ্কা

হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনছে মাড়োয়ারি এজেন্টরা

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

মাড়োয়ারি এজেন্টরা কোরবানীর পশুর চামড়া কিনতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই চামড়া কিনতে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে আসছে। কোরবানিতে বাজারের সব চাইতে হৃষ্টপুষ্ট রোগমুক্ত সেরা গরু, ছাগল, মহিষ ক্রয় করা হয়ে থাকে। এসব পশুর চামড়া খুবই উন্নতমানের। বাংলাদেশের কোরবানির এই চামড়া বিশ্ব বাজারে ব্যপক চাহিদা রয়েছে। এই চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার দর অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। তাই ভারতীয় মাড়োয়ারী ব্যবসায়ীদের লোলুপ দৃষ্টি বাংলাদেশের দিকে।
এদিকে ঢাকার ট্যানারী মালিকরা কারখানা সরাতে যেয়ে আর্থিক সঙ্কটে বিগত বছরের বহু ব্যবসায়ীর পাওনা বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া বহু ট্যানারী এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বাংলাদেশে সরকার কতৃক রাজধানীর বাইরে গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং খাসি ছাগলের চামড়া ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই জেলা শহরের বাইরে চামড়ার দাম আরো হ্রাস পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশে চামড়ার বাজারে ধ্বস নামার সংবাদ সম্পর্কে ভারতীয়রা সমধিক জ্ঞাত হয়ে পড়েছে। তাই কম দামে চামড়া সংগ্রহে ভারতের ব্যাবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। সূত্র জানায়, চামড়া কেনার জন্য মাড়োয়ারী ব্যবসায়ীদের এজেন্টরা বাংলাদেশের চোরাচালানীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। হুন্ডির মাধ্যমে এজেন্টদের হাতে প্রয়োজনীয় টাকা পৌঁছানো হচ্ছে। বাংলাদেশের শ্যামনগর, কালিগজ্ঞ, দেবহাটা, সাতক্ষীরা, কলারোয়া, যশোরের শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মহেশপুর সীমান্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বৃহত্তর খুলনা বিভাগের বিভিন্ন হাটবাজারের চামড়া ব্যবসায়ী সঙ্গে যোগাযোগ করে চামড়া কেনার জন্য অগ্রিম টাকা প্রদান করা হচ্ছে। আবার সীমান্ত পথে আগত সীমিত সংখ্যক ভারতীয় গরু বিক্রির টাকা চামড়া কেনায় বিনিযোগ করা হচ্ছে বলেও সূত্র জানায়।
তাছাড়া চামড়া কেনার জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার বাজার যশোরের রাজারহাটের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সীমান্ত চোরাচালানের গডফাদারের সহায়তায় সীমান্তবর্তী উপজেলা কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা, কালিগজ্ঞ, শ্যামনগর, যশোরের শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মহেশপুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে চামড়া কেনার মৌসুমী ফড়িয়া নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যশোর ও সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, কারখানা সরানোর পরে বহু ট্যানারী উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়নি। ফলে কোরবানীর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও ঢাকার ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে সিংহভাগ চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে সূত্র জানায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ