Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খুলনার ১৬ রুটে আসছে মশলা ও শাড়িকাপড়

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

খুলনাঞ্চলের ভারতীয় সীমান্তের চিহ্নিত ১৬ রুট দিয়ে আসছে মশলা মাদক দ্রব্য আর শাড়ী কাপড়। ঠিক শেষ মুহুর্তে নানা গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে স্মাগলিং চলছে ব্যাপক হারে। চোরাই পথে চামড়া পাচারেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে চক্রটি। তাদের ব্যবসা আসবে মশলা শাড়ি আর যাবে চামড়া। চোরাচালান সিন্ডিকেট সে সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে। দিনে রাতে ট্রাকে ট্রেনে, বাসে, পিকআপে ভারতীয় পন্য ঢুকছে সর্বত্র। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিপনী বিতানগুলোতে এখন শেষ মুহুর্তে ভারতীয় পণ্যে সয়লাব। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আনা জিরা, গরম মশলা, আদা, রসুন আসছেই এ যেন দেখার কেউ নেই। ঈদের বিশেষ চমক যুব সমাজের হাতে পৌছে যাচ্ছে ফেনসিডিল আর ইয়াবা। খুলনা বেনাপোল কমিউটার ট্রেন দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল চোরাকারবারীরা চকলেট সামগ্রী, চিপস, হরলিক্স আর কসমেটিক্স থ্রিপিছ জুতা প্রসাধনী আনছে প্রতিনিয়ত।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে খুলনা ও সীমান্ত অঞ্চলের চোরাচালান সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত শাড়ি কাপড় ও মাদকদ্রব্য চোরাচালান করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে একটি চক্র একের পর এক কালোবাজারী করলেও কেন তাদের আইনে সোপর্দ করা হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। ফাঁক ফোকর দিয়ে প্রতিনিয়ত খুলনাঞ্চলে চোরাচালান চলছে। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য বেমালুম চেপে যাচ্ছে। বøাকিং রুট ওপেন করে দিচ্ছে।
সূত্রমতে, ঈদুল ফিতরের পরে স্থল পথে স্মাগলিং কিছুটা কম হয়। তবে সারা বছর নৌ পথে সক্রিয় থাকে। র‌্যাব পুলিশ কোষ্টগার্ড বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে স্মাগলিং পণ্য আটক করলেও চোরাকারবারীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় অভিযান ও উদ্ধার স্বত্তেও শাড়ী কাপড় মশলা ও মাদক চোরাচালান কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছেনা। নানা কলা কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন রুটে চোরাচালান চলছেই। অভিযানের কারণে সুচতুর চোরাকারবারীরা প্রতিনিয়ত রুট পরিবর্তন করছে। কিন্তু গোয়েন্দারাও সজাগ। তাই কখনও তিন কোটি আবার কখনও সাত কোটি টাকার মাল ধরা পড়ার পরেও চোরাকারবারীরা বেসামাল। অসাধু ব্যবসায়ীদের ষ্টকে রয়েছে কোটি কোটি টাকার চোরাচালানী পণ্য। অপরদিকে ঈদ সামনে রেখেই কথিত ফিলিংসের জন্য ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা, হেরোইন আর বাংলা মদ ঢুকছে। রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভদ্র বেশি কালোবাজারীরা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। অথচ মাদকের থাবায় যুব স¤প্রদায় এখন চরম বিপথগামী। সকল অপরাধ কর্মকান্ডের মূল মন্ত্রই হচ্ছে মাদক। হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজি দস্যুতা সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের পেছনে মাদকের কানেকশন রয়েছে।
সূত্রমতে, সা¤প্রতিককালে খুলনাসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভারতীয় কাপড়ের চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন টহল জোরদার করেছে। চলছে র‌্যাবের টহল। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে চোরাচালানীর আনাগোনা ও কার্যক্রম তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা জানান, একটি চক্র অবৈধ ভারতীয় পন্য চোরাচালানী করে আসছে। চোরাচালানী বন্ধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
এদিকে ঢাকায় ফেনসিডিল সাপ্লাই হয় মূলত খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট থেকে। এক শ্রেনীর মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সংস্থাকে ম্যানেজ করে এ কারবার সারা বছরই করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এখানে যেন স্বাক্ষী গোপাল। নারকোটিক্সের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী এর সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সাথে আছে রাজনৈতিক সেল্টার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রুটে আসছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ