Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দিলে কি হবে সরকার এই ভয়ে আছে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে ছাড়া পেলে কি হবে সরকার এখন এই ভয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার দিন সরকার যতটা ভয়ে ছিল এখন তার চেয়েও বেশি ভয়ে আছে। সরকার ভয় পাচ্ছে তাকে ছেড়ে দিলে কী হয়। তিনি বের হয়ে যেদিকে যাবেন তার সাথে দেশের মানুষ হাটা শুরু করবে। সেজন্য জামিনযোগ্য মামলাও তাকে জামিন না দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামে সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের নেত্রী মেহেরুননেসা হকসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের মধ্যে দুজন হলেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। একজন খালেদা জিয়া আর একজন শেখ হাসিনা। এখন এর মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী থেকে নির্বাচন করবেন, আর একজন জেলে থেকে নির্বাচন করবেন এটাকেতো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলা যায় না। একজন এমপি থেকে নির্বাচন করবে আর আমরা এমপি না থেকে নির্বাচন করবো সেটাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নয়। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় অংশ নিতে চাই না।
নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় বিএনপি অংশ নেবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির এই নেতা বলেন,
একটা গণতান্ত্রিক দল বা জোট হিসেবে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় আমরা যোগ দিতে চাই না। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সর্বাগ্রে জানিয়ে নজরুল বলেন, আমাদের বেসিক দাবি- সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সরকারকে নিরপেক্ষ বানাইতে হবে। আমরা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা চাই, আমরা নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ চাই এবং আমরা সমস্ত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি চাই। তিনি বলেন, আমরা সরকারের পতন চাই এটা কোনো গোপন কথা না। এই সরকারকে সরিয়ে আমরা দেশ শাসন করতে চাই এটাও গোপন কথা না। সুতরাং আমরা কোনো ষড়যন্ত্রও করি না। আমরা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে চাই। এর কোনো বিকল্প নেই। সেই আন্দোলন সফল হবে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
সরকারের সমালোচনা বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এত নোংরা অভিযোগ আছে অন্য কেউ হলে, অন্য কোন সরকার হলে আগেই পদত্যাগ করতো। কিছুদিন আগে জার্মানির একটি সংস্থা বলেছে স্বৈরাচারী দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু সারা বিশ্বের সবাই বলে স্বৈরাচার।
নজরুল বলেন, দেশে যদি আজ সত্যিকারে নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা দিতে হতো, এই সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই, যা ইচ্ছা তাই করছে তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না কারণ বর্তমান সরকার এমন একটি সংসদ গঠন করেছে যে সংসদের বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দ‚ত এবং সেই দলের তিনজন সরকারি দলের মন্ত্রী এরা সারাদিন অফিস করে সংসদে গিয়ে বিরোধীদলীয় আসনে বসে। বিরোধী দলের আসনে বসে সরকারি বিল পাস করে পৃথিবীর কোথাও এমন হাস্যকর সংসদ নেই যা বাংলাদেশের চলছে। পৃথিবীর কোথাও সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে ইয়ার্কি ফাজলামি চলে না কিন্তু বাংলাদেশে যেটা চলছে আমরা বলব এটা এক ধরনের ইয়ার্কি-ফাজলামি।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিকুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও মো. সেলিম মিঞার পরিচালনায় আলোচনা সভায় ২০ দলীয় জোটের শরিক ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় নেতা আলমগীর হোসেন, হায়দার আলী লেলিন, আরিফা সুলতানা রুমা, মিয়া মো. আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ