Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের প্রস্তুতি ইতিবাচক

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের কিছু প্রস্তুতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহিদুল হক গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত শনিবার নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলেন । এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সচিব শহিদুল হক।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রাখাইনে মিয়ানমারের করা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র আমরা দেখেছি। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বল্প পরিসরে হলেও তাদের এ পদক্ষেপ ইতিবাচক। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। তবে এটি কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ যারা তাদের বাড়ীঘর জমি, ফসল ফেলে এসেছে তারা চাইবে আসলে সেখানেই ফিরে যেতে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে হট লাইন চালু করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার।
এদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার। পাশাপাশি প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করছে দেশটির সরকার। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,সামগ্রিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হয়েছে। সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার। তবে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় এবং কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন না করায় এখনই প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরকে বসবাসের উপযোগি করা হচ্ছে। খুব কম সময়ে বিশ্ববাসিকে আমরা এ বিষয়ে জানাব। এক লাখ রোহিঙ্গা সেখানে বসবাস করতে পারবে।
তিনি বলেন, পুকুর, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ তারা যেনো সেখানে মাছ চাষ, হাস মুরগি পালন করতে পারে সেই ব্যাবস্থা রাখা হচ্ছে। ভাসান চরে জীবিকার জন্য সকল আয়োজন রাখা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যদি মিয়ানমার চলে যায় চাইলে সেখানে আমাদের লোকজনেরাও থাকতে পারবে।
এদিকে, রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার-বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এ পর্যন্ত দুইটি বৈঠক করেছে। সর্বশেষ বৈঠকটি গত ১৭ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ অক্টোবর ২০১৬ এবং ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালের পর যে সকল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফেরত নিবে মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষরের দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ