পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরত্ব বেড়েই চলেছে। সময়ের হিসেবে বৃদ্ধির পরিমাণ কখনো ৭-৮ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সড়কপথের এ দূরত্ব হাজার হাজার মানুষের অন্তহীন দুর্গতির পাশাপাশি বিপুল আর্থিক ক্ষতিও। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল এখন শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয় দুঃসাধ্যও বটে। এ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মহাসড়কে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে বেড়েই চলছে যাত্রীদের দুর্গতি। যনজটের কারণে এখন মনে হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের দূরত্বই বেড়ে গেল।
এ ধরনের চিত্র এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়কে যাত্রী পরিবহন করে চালক কফিল উদ্দিন। তার বর্ণনায় ফুটে উঠে প্রতিদিনকার যানজটের ভয়াল চিত্র। কাঁচপুর থেকে যানজটের সূচনা। দাউদকান্দি হয়ে কুমিল্লার পথেই একের পর এক যানজট। দুর্ঘটনা ছাড়া সড়কের পাশে অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। হাইওয়ে পুলিশ আছে। কিন্তু তাদের এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা খুবই দুর্বল। গ্রীন লাইন গাড়ীর যাত্রী হুমায়ন কবীর দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যানজট প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। কোনো না কোনো জায়গায় যানজট হচ্ছে। আর যানজট মানে কয়েক ঘণ্টার মহাযন্ত্রণা। যারা শীতাতপ গাড়ির যাত্রী তাদের দুর্গতি আরো বেশি। কয়েক ঘণ্টা যানজটে পড়লে গাড়ির এসি বন্ধ হয়ে যায়। কুমিল্লা থেকে ঢাকা অভিমুখী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া পণ্য পরিবাহিত হয়। দিন দিন বাড়ছে লরিসহ কনটেনারবাহী গাড়ির চাপ। এ কারণেও ঘন ঘন মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রোববার ভারী যানবাহনগুলোর ধীরগতিতে গাড়ী চলাচলের কারণে মহাসড়কের ভবেরচর থেকে মেঘনা ব্রীজ পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী যানজট সৃষ্টি হয়। প্রথম যানজট শুরু হয় দুপুরে ১২টার দিকে দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় ওজন স্কেলের কারণে। তখন কয়েকশ যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ে যায়। এ মহাযানজট মুক্ত হতে সময় গড়িয়ে যায় দুপুর ৩টা পর্যন্ত। যে কারণে সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি কুমিল্লায় পৌঁছে বিকাল ৪টায়। শুধু যানজটেই গতকাল রোববার মহাসড়কে ৬-৭ ঘণ্টা দু’দফায় আটকা পড়েছিল প্রায় হাজারখানেক গাড়ির কয়েক হাজার যাত্রী। পুড়েছে কোটি টাকার জ্বালানি। চালকরা জানান, যানজটে পড়ে যানবাহনগুলোও কখনো ধীরে চলা আবার আটকা পড়া এমন করেই প্রতিদিন বিরাট অঙ্কের টাকার তেল অপচয় হচ্ছে। আবার এ যানজটের মধ্যেই গাড়িগুলোতেও যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়ে আবার যানজটের সৃষ্টি করছে। চালকরা বলছে দাউদকান্দি থেকে ময়নামতি অংশ এখন সবচেয়ে বেশি যানজটপ্রবণ এলাকা।
মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর কয়েকটি স্থানে সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া একই সড়কে কুটুম্বপুর থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইলিয়টগঞ্জ থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পর্যন্ত সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগেই আছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন বলেন, ঈদের আগেই মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক মেরামত করা হবে। কুমিল্লার ব্রিক ফিল্ড মালিক সমতির সাধারন সম্পাদক হাজী ফরহাদ হোসন ভূঁইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মহাসড়কে টানা কয়েক মাস ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভূমিকা পালনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে কোন কিছু চলতে পারে না। পুরো মহাসড়ক অচল হয়ে গেছে। আন্তজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, ২ ঘণ্টার পথ ৪ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের অবস্থা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় ভাড়ার পুরো অর্থ পাওয়া যায় না। আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রোডের করুণ অবস্থার জন্য বিপুল অংকের ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।