বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মাদ্রাসা সুপারকে মারধর, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে স্থানীয় রুহুল আমিন গং। এখনও তাদের হুমকির মুখে মাদ্রাসায় যেতে পারছে না সেই মাদ্রাসা সুপার। এ অবস্থার অবসানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
গতকাল সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব অভিযোগ করেন পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আক্কেলপুর নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য নূর সাঈদ হাওলাদার ও স্থানীয় ইদ্রিস মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় মাদ্রাসার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সাথে সাথে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী রুহুল আমিনের বাহিনীর সদস্য জুলহাস, ফারুক, আবু সালেহ, ইলিয়াস, মিরাজ, কেনান, আল আমিন, সাদ্দাম, আইয়ুব আলী ও মানিকসহ আরো কয়েকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে তার বাম হাত ও ডান পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় মুসল্লিদের বাঁধার মুখে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই আদালতে তার ছেলে মামলা করে (মামলা নং-২৬/১৮)। মামলা দায়েরের পর তার ছেলে ফয়সালকে খুন করার জন্য ৩০ জুলাই বিকেলে রুহুল আমিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে ঢুকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবাদ কাগজপত্র লুট করে। তার বৃদ্ধ মা-বাবা ও তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা খুশিকে মারধর করে। মামলা না তুললে পরিবারের সবাইকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, একই দিনে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী তার শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায়। তার শ্যালক আমীন মৃধার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। জামিনে মুক্ত হওয়া সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে বেশ কয়েকটি পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থার অবসানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।