পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সময়টা এখন ভালো নয় ভাষণ না দিয়ে কাজে মন দিন। গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় সহকর্মীদের কথাবার্তায় আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, শর্ত দিয়ে কোন সংলাপ হবে না। সংলাপ চাইলে বিএনপিকে শর্তহীনভাবে আসতে হবে। আর বিএনপির সাথে সংলাপের প্রয়োজন আছে এমনটা মনে করিনা। নয় বছরের নয়টা মিনিট রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। আন্দোলন করতে পারেনি। কোটার ওপর ভর করে থাকতে পারেনি, ছাত্রছাত্রীদের ওপর ভর করে থাকতে পারেনি, নিরাপদ সড়কের ওপর ভর সেখানেও ব্যর্থ, অবশেষে বিদেশিদের কাছে নালিশ করা শুরু করেছে। আজকে ফখরুল সাহেব বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো বেপরোয়া হয়ে গেছেন।
শোক দিবসের আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটি উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, মন্ত্রীরা বিদেশ যেতে চায়। নেতারা কথা বেশি বলে, কাজ তেমন করে না। বর্তমান নেতাদের বঙ্গবন্ধুর সেই উক্তি স্মরণ করার অনুরোধ করছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, আমাদের সরকারি পদে আমরা যারা মন্ত্রী আছি, আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, যারা নেতারা আছেন, ভাষণ না দিয়ে কাজের দিকে মনযোগ দিন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়টা ভালো নয়। আমি আমাদের নেতৃবৃন্দের কাছে, আমার সহকর্মীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, যার যার সীমানা পেরিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন না। সরকারকে বিব্রত করে- এমন বক্তব্য কেউ দেবেন না। দল, সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কথা দয়া করে কেউ বলবেন না।
সহকর্মীদের ‘হোমওয়ার্ক’ করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পলিসির ব্যাপারে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে কথা বলবেন, ফ্রিস্টাইল কথা বলা যাবে না।
কেবল পোস্টার ব্যানার ফেস্টুনে ছবি দিয়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া যাবে না বলেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে নিজের ছবি দিয়ে আত্মপ্রচার বন্ধ করতে হবে। এই ছবি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে আত্মপ্রচারে যারা নিমগ্ন তাদের রাজনীতির কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্লিজ এটা দেখবেন। একজন এমপি, তার বাড়ি ঢাকা থেকে অনেক দূরের একটি দ্বীপে, তিনিও ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর পাশে ছবি দিয়ে পোস্টার বিলবোর্ড করেছেন। কেন? যারা বাইরে তারা এখানে কেন ছবি দিচ্ছেন? এটা কি তাদের নির্বাচনী এলাকা? প্লিজ এইসব প্র্যাকটিস বন্ধ করুন। ইলেকশন সামনে নেতারা এই পথে আসে যায় দেখবেন এইসব বন্ধ করুন। পোস্টারের ছবি দেখিয়ে শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। নমিনেশন পাওয়া যাবে জনগণের সেবা করে, জনগণেন মন জয় করে, এটা আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই।
দেশেরে রাজনৈতিক চিত্র অতি দ্রুত বদল হবে- বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কীভাবে বদল হবে? কেন বদল হবে? কি কারণে বদল হবে? মওদুদ সাহেবের কী ম্যাজিক আছে যে ম্যাজিক দিয়ে তিনি রাজনীতি বদল করবেন। জনগণের রায়ের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতা বদলের ‘খোয়াব’ দেখলে তা অচিরেই কর্পুরের মত হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সেতু মন্ত্রী বলেন, সরকার কে বদলাবে? জনগণ। জনগণ কি আপনাদের চায়? নয় বছরে জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেয় নাই, তারপরও বোঝেন নাই। আজকে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির দিন শেষ। আর সুযোগ নাই। দেশের জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর সুযোগ নাই আর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে বসে কারা কোথায় কার সঙ্গে বৈঠক করছে- সব খবরই নলেজে আছে। ধৈর্য্য ধরে আছি। মনিটর করছি, আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। সময়মত আমরা ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।