পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের রাখাইন হয়ে মংডুতে ঁেপৗছেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হকসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কয়েকজন সদস্য। গতকাল শনিবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে তারা সিত্তুয়ে থেকে মংডুর উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রী, সচিব ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ৫জন সদস্য মংডুতে গেছেন। তার সঙ্গ দিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পূণর্বাসনমন্ত্রী।
জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রস্তুতি সরজমিনে দেখবেন। তাদের সীমান্তের ট্রানজিট ক্যাম্প, প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের প্রি-ফেবরিকেটেড ভিলেজ এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত একটি রোহিঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিকালে মংডু গিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টা (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৭টা) নাগাদ নেপিডতে ফিরে আসার কথা।
ঢাকা ফিরেই বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ ব্রিফিং করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
এদিকে, গত শুক্রবার নেপিডয় বাংলাদেশ-মিয়ানমার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি হটলাইন চালুর সিদ্ধান্ত হয়। হটলাইনে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আলোচনা হবে।
এ ছাড়া, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে ফরম তৈরি করা হয়েছে তা পূরণ করতে হবে তাদের নিজেদেরই। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে, বাংলদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আর মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অফিসের মন্ত্রী চাও তিন সোয়ে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়। হটলাইনে হটলাইনে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আলোচনা হবে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়- বৈঠকে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে যে ফরম তৈরি করা হয়েছে, তা আলোচনায় উঠে আসে। তবে এ ফরম রোহিঙ্গাদের নিজেদেরই পূরণ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল গত ৯ আগস্ট থেকে মিয়ানমার রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা, জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও দেখা প্রতিনিধি দলের সফরে মূখ্য উদ্দেশ্য বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।