পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫ মহাব্যস্থাপকের মধ্যে পদ শূণ্য তিন : সময়মত কয়লা উত্তোলন না হলে অকেজো হবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বড় সঙ্কটে পড়েছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপ বিদুৎ কেন্দ্র। কয়লা ঘাটতির ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর তদন্ত শুরু হবার পর থেকেই খনির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। শেষ পর্যন্তু তদন্তে অপরাধীর তালিকা বাড়বে নাকি কমবে এনিয়েই নানামুখী চাপে ভেঙে পড়েছে প্রশাসনিক চেই অব কমান্ড। গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে দাপ্তরিক স্বাভাবিক কাজকর্ম। সময়মত খনি থেকে কয়লা উত্তোলন না হলে অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়ার্ড তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটি। ফলে বড় সঙ্কটে পড়েছে দেশের বৃহৎ দুটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা ঘাটতি হওয়ায়, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা খনির এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানী সচিব মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানীয়কে প্রত্যাহার এবং মহাব্যবস্থাপক মাইনিং এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক খালেদুর ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এই ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর গত ২৪ জুলাই খনির ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে খনিটিতে কর্মরত ৫জন মহাব্যস্থাপকের মধ্যে তিনজন মহাব্যস্থাপকের পদ শূণ্য হয়ে যায়। অপরদিকে দুজন মহাব্যবস্থাপক কর্মরত থাকলেও তারা অন্য প্রকল্পে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় বড় ধরনের প্রশাসনিক জট বেঁধেছে এমনটিই জানা যায় একাধিক সূত্রে। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও দুদকের তদন্ত শুরু হওয়ায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে খনিটির অন্য কর্মকর্তারাও। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। ফলে খনি কর্তৃপক্ষের দেয়া সময় অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবার কথা থাকলেও,তা নিয়েও দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। আবার সময়মত খনি থেকে কয়লা উত্তোলন না হলে অকেজো হয়ে থাকবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগওয়ার্ড তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটি।
গত বৃহস্পতিবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের কর্মচাঞ্চলে ভরপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির গেটটি এখন প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। খনির ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার অনুরোধ করেন, কিন্তু কে দেবে অনুমতি তা সঠিক করে কেউ বলতে পারেনি। কোন কর্মকর্তা কারো সাথে কোন কথা বলতেও রাজি হয়নি। এমন কি ফোনে একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও আমার দায়িত্ব নাই বলেই ফোন কেটে দেয়।
খনির কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করার পর থেকে আতঙ্ক ও প্রশাসনিক জটিলতা শুরু হয়। গত ২৪ জুলাই খনি কর্মকর্তাদের নামে মামলা ও দুদকের তদন্ত শুরু এবং গত ৫ ও ৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক শফিকুল আলম খনি পরিদর্শন করে গত ১৭ বছরের কাগজপত্র জব্দ করায় এই আতঙ্ক আরো প্রকট হয়ে পড়েছে।
এদিকে খনিতে কয়লা না থাকায় গত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়ার্ড তাপ বিদুৎ কেন্দ্র। কর্তৃপক্ষ সেই সময় সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিল আগামী সেপ্টেম্বর মাসে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। কিন্তু বর্তমানে খনিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তাতে করে সেই লক্ষ্য পুরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ওই কর্মকর্তারা বলেন খনিটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে খনির প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করতে হবে, কারন এই খনিটির উপর নির্ভশীল বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়ার্ড তাপ বিদুৎ কেন্দ্র, এই খনিটি অচল হয়ে পড়লে, তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটিও অচল হয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।