পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল বর্তমান এলাকার বাহিরে খনির উত্তরে দেড় ও দক্ষিণে তিন বর্গ-কিলোমিটার এলাকার কয়লার মজুদের পরিমান ও উৎপাদনের সম্ভাবতা যাচাইয়ের কাজ স্থানীয় বাসিন্দাদের অব্যাহত বাধার মুখে বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৫ নভেম্বর শনিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে সম্ভাবতা যাইচায়ের কাজ কন্ধ করে দিতে বাধ্য হন খনি কর্তৃপক্ষ। এতে কয়লার বাড়তি উৎপাদন সঙ্কটের মুখে পড়েছে।
খনি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বড়পুকুরিয়ার কোল বেসিনের মধ্যভাগের ভ‚গর্ভ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৯ লাখ মেঃ টন কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কোল বেসিনের উত্তর পাশের্^র ভূগর্ভের ১ দশমিক ৫ বর্গ কিলোমিটার ও দক্ষিণ পাশের্^র তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকার ভ‚গর্ভ থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত আরো ৬ লাখ টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যে এবছরের প্রথম দিকে ওই সব এলাকায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। এ উদ্দেশ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের জন টি বয়েড কোম্পনী এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ অংশীদার মজুমদার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ৬৮ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারী সরকারের জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্র্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর এক্সটেনশন অব এক্সিসটিং আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং অপারেশন অব বড়পুকুরিয়া কোল মাইন টুওয়ার্ডস দ্যা সাউদার্ণ এন্ড দ্যা নর্দার্ণ সাইড অব দ্যা বেসিন উইদাউট ইন্টারাপশন অব দ্যা প্রেজেন্ট প্রোডাকশন” শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৭৭ কোটি ৫৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার প্রাক্কলিত ব্যায় অনুমোদন করে। গত ২ মার্চ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু করে। এ কাজের আওতায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় টপোগ্রাফিক সার্ভে, থ্রি-ডি সিসমিক সার্ভে, বোরহোল ড্রিলিং, ইআইএ, ইমপি, আরএপি, হাইড্রোজিওলজিক্যাল স্টাডি, জিওলজিক্যাল এবং জিওফিজিক্যাল লগিং এর সম্পন্ন করতে হবে।
গত সেপ্টেমর মাসে ওই এলাকায় ১৫টি বোরহোল ড্রিলিং এর কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিানটি। এজন্য আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রতিটি বোরহোল এলাকার ১০ শতক জমির জন্য ৪০ হাজার টাকা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। প্রথম দিকে ৫টি বোরহোল খনন করা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে আরো অধিক ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে সম্ভব্যতা যাচাইয়ের কাজ করতে দেয়া হবে না বলে গ্রামবাসীরা হুমকি দেয়। এতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দেশী-বিদেশী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সম্ভব্যতা যাচাই প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা ভূতত্ত¦বিদ প্রকৌশলী এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলনের ফলে খনির কেন্দ্রীয় এলাকার উত্তর ও দক্ষিন পাশের্^র ১০টি গ্রাম কাজিপাড়া, চৌহাটি, হামিদপুর, মোবারকপুর, বৈগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, পাতিপাড়া, পাচঘরিয়া, কালুপাড়া ও রসুলপুর গ্রামের ঘরবাড়ী, জায়গা-জমি ও ফসলের কোন রকম ক্ষতি না হলেও কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ উদ্যেশ্যমূলক ভাবে বাড়তি ক্ষতিপুরনের আশায় সমীক্ষা কাজে বাধা প্রদান করছে। তারপরও ওই সব গ্রামের পরিবার প্রতি গড়ে ৬ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৪ পরিবারের মাঝে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮০ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে বাধা দিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরুর দুই মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধার মুখে কাজ বন্ধ থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৩শ’ দেশী-বিদেশী কর্মকর্তা-কর্মচারী বসে বসে অলস দিন কাটাচ্ছেন। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন ৮ হাজার ৬শ’ মার্কিন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বিপুল অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।